ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

রাজনৈতিক দলগুলোকে ভেদাভেদ ভুলে রাজপথে নামার আহ্বান মান্নার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪
রাজনৈতিক দলগুলোকে ভেদাভেদ ভুলে রাজপথে নামার আহ্বান মান্নার

ঢাকা: আদর্শগত ভেদাভেদ ভুল সব রাজনৈতিক দলকে সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলনে নামার আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যর সভাপতি মাহামুদুর রহমান মান্না।

তিনি বলেছেন, আর্দশগত ভেদাভেদ ভুলে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে নামতে হবে।

সরকারের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলতে হবে, আপনারা না যাওয়া পর্যন্ত আমরা যাব না।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) 'দেশকে বহুমুখী থেকে উত্তরণ, মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ  কারাবন্দি জাতীয় নেতাদের মুক্তি এবং পাঠ্যপুস্তক থেকে বির্তকিত লেখা বাতিলের দাবিতে' আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।  

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।

গোলটেবিল বৈঠকে মাহামুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, ৭ জানুয়ারি দেশে কোনো নির্বাচন হয়নি, ৯৫ শতাংশ মানুষ ভোট দেয়নি। এবারে নির্বাচনের পর সরকারের ওপর থেকে দেশ-বিদেশের শ্রদ্ধা চলে গেছে। সরকারের আশা ভরসা চুরমার হয়ে গেছে। মানুষ আবারও ঘুরে দাঁড়াতে চায়।

তিনি বলেন, যে দলের যে দলের আর্দশ মেলে তারা জোটবদ্ধ হন, নিজেরা নিজেদের মতো আন্দোলন চালিয়ে যান। সবাই মিলে সরকার হটাতে পারলে একটা অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে।

এক দফার আন্দোলন এখনো জীবিত আছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের পর রাতে ভোটডাকাতির কোনো প্রতিবাদ করতে পারেনি। কিন্তু এবার ৭ জানুয়ারি আগে থেকে এখন পর্যন্ত আমরা রাজপথে আছি। এ সরকারের পতন খুব সামনে। এরা রিজার্ভ বাড়াতে পারবে না, এলসি খুলতে পারবে না, দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে পারবে না। কারণ এরাই সিন্ডিকেট, আর সিন্ডিকেটই সরকার। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকারের কাছেও টাকা নেই।

সভাপতির বক্তব্য বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েব আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ বলেন, মাওলানা মামুনুল হকসহ সব রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে।

গণফোরাম একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী বলেন, দ্রন্বমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার। অথচ দোষ চাপাচ্ছে বিএনপির ওপর। সরকার ভাঁওতাবাজি করে টিকে আছে। আজকে দেশের প্রতিটি সেক্টর ধ্বংস করে ভারতের ওপর নির্ভরশীল করে ফেলা হয়েছে। তাই আগামী দিনে রাজপথের আন্দোলন আরও জোরালো করা হবে।

গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, আজকে বাংলাদেশে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে ভারতীয় আধিপত্য। আর সহায়তা করছে শেখ হাসিনা সরকার। ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে ভারতের ওপর নির্ভরশীল করে ফেলা হয়েছে। আজকে নারিকেল, কচুরমুখিও ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমিনী সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমেদ, ইসলামী আন্দোলনের নায়েব আমির আশরাফ আলী আকন, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম, এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪
এসসি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।