ঢাকা: মুদ্রাস্ফীতি, মূল্যস্ফীতি, চাঁদাবাজিসহ চলমান সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা না করলে সমাধান বের হবে না বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলের উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। সরকার শক্তিশালী হওয়ার পরও কেন এসব সমস্যা সমাধান করতে পারছে না নিয়ে তিনি প্রশ্ন করেন।
সোমবার (৪ মার্চ) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এসব সব কথা বলেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ২০২২ সাল পর্যন্ত অর্থনীতি সচল ছিল। কিন্তু ২০২৩ এবং বর্তমানে সেটা কি আছে। এত কিছুর পরেও রিজার্ভ ২৩ বিলিয়নের ওপর উঠানো হয়নি, অবশ্য এটা আইএমএফ এর যে ব্যাখা সেই ব্যাখা অনুযায়ী। ২৩ বিলিয়ন আমরা ক্রস করতে পারিনি অথচ ২০২১ সালে রিজার্ভ ছিল ৪৮ বিলিয়ন। কেন এটি হয়েছে এ আলোচনা তো সংসদে হওয়া উচিত। কি কারণে আমরা এত ইমপোর্ট রেস্ট্রিকশন করার পরও রিজার্ভ বাড়ছে না। আমরা গর্ব করে বলতাম আমাদের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে ৮ এর বেশি কিন্তু গত বছর সেটি নেমে ৫.৭ হয়েছে, এটি তো আলোচনা করার কথা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মুদ্রাস্ফীতি আজ কোথায় গেছে ৯.৮ ভাগ যে মুদ্রাস্ফীতি ৫ ভাগ ছিল। সামষ্টিক অর্থনীতি অস্থিতিশীল হয়ে গেছে। আমরা এগুলোর ব্যাপারে আলোচনা করে এবং কি কারণে এগুলো হয়েছে সেগুলো যদি প্রকৃত আলোচনা না করি এবং সমাধানে যদি আমাদের পলিসিগুলো না নেই তাহলে কিন্তু আমরা এর থেকে বের হয়ে আসতে পারবো না।
তিনি বলেন, আজকে মূল্য বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি এমন একটা পর্যায়ে গেছে সাধারণ মানুষের আসলে নাভিশ্বাস উঠেছে। খাদ্য দ্রব্য এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের যদি মূল্যস্ফীতি ধরি সেটা হবে ১২ ভাগের উপরে এ নিয়ে আমাদের কথা বলতে হবে, তা নিয়ে কথা বলছি না। এ প্রশ্নগুলো আমাদেরকে সংসদে করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, চাঁদাবাজি কেন আমরা রোধ করতে পারছি না। এ সরকার তো একটা শক্তিশালী সরকার। এ সংসদে আমরা ১২ জন ছাড়া আর সবই তো সরকারি দলের। কেন আজকে এ সরকার চাঁদাবাজি বন্ধ করতে পারছে না। রোজার আগে আমরা মনে করেছিলাম জিনিসপত্রের দাম নিম্নমুখী হবে কিন্তু সেটা হচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৪
এসকে/জেএইচ