ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

‘ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে আমাদের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায় বিএনপি’ 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৪
‘ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে আমাদের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায় বিএনপি’ 

ঢাকা: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে আমাদের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায় বিএনপি।  

রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যানবাহন চলাচলের জন্য ৭টি ফ্লাইওভার উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বাস রাপিড ট্রানজিট (বিআরটি,এয়ারপোর্ট-গাজীপুর) প্রকল্পের সওজ অংশের আওতায় ফ্লাইওভারগুলো নির্মিত হয়েছে।


অনুষ্ঠানে বিএনপি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে  ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতারা আসলে এখন ব্যর্থতার জন্য নিজেরাই ক্লান্ত। তাদের কর্মীরা হতাশ। নেতাদের কারও সাথে কারও কথার মিল দেখি না। মঈন খান বললেন, গণতন্ত্র উদ্ধারে ভারতকে সহযোগিতা করার জন্য। আবার রিজভী তার চাদর ফেলে দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ভারত বিরোধিতা করছে। তারা আসলে বর্জনের নামে আমাদের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায়। আর এটা কী সম্ভব?

মন্ত্রী বলেন, পণ্য বর্জন এটা কি সম্ভব। বাংলাদেশ ও ভারতের যে অবস্থা, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে লেনদেন, যে আদান-প্রদান হয়ে থাকে, তার মধ্যে এমন বর্জনের প্রস্তাব বাস্তব সম্মত কিনা! 

বিএনপি নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, আন্দোলন করার লোক পায় না, সামরিক ট্রেনিং কাকে দেবে? এটা আরেকটি প্রতারণাপূর্ণ কৌশল। বিএনপির একেক নেতা একেক রকম কথা বলেন। আমি এখন শুনতে চাই বিএনপির মহাসচিব তিনি এখন কি বলবেন। দলের মুখপাত্র হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কি বলেন, আমির খসরু কি বললেন, রিজভী কি বললেন, আবার মঈন খান কি বললেন। তার থেকেও গুরুত্ব দিয়ে জানতে চাই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কি বলেন, যেহেতু তিনি মহাসচিব।  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একেক জন একেক কথা বললে কোনো জায়গা থেকে নির্দেশিত হয়ে বলছেন, এমন কথা বলার নির্দেশ থাকে না। লন্ডন থেকে নাকি অন্য কোনো জায়গা থেকে আদিষ্ট হয়ে বলছেন কিনা; তা বলবো কী করে। এখন আমির খসরু যা বলে, রিজভী বলেন আরেকটা, আবার মঈন খানও বলেন। কারো কথার সাথে কারো কোনো মিল নাই।  

মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো চিন্তা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার এ ধরনের চিন্তাভাবনা কেন করবে? এর কোনো যুক্তি নেই, বাস্তবতা নেই। নির্বাচন যখন হওয়ার তখন হবে, সংবিধান অনুসারে। আমাদের সংবিধানে মধ্যবর্তী নির্বাচন বলতে কিছু নেই।

ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাইকে যার যার কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সবাই যার যার কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন প্রত্যাশা করছি। এবার ঈদযাত্রা পুরোপুরি স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশা করছি।  

বাংলাদেশ সময় : ১২৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৪
জিসিজি/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।