খুলনা: সাবেক সেনাপ্রধান, সাবেক পুলিশপ্রধানের দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ন এবং সরকার দলীয় সংসদ সদস্যের (এমপি) নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের দায়-দায়িত্ব সরকার ও সরকারি দলের এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে দাবি করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
তারা বলেছেন, দমন করে শাসন করতে গিয়ে সরকারের ভেতর-বাইরে অসংখ্য অপরাধী-দুর্বৃত্ত জন্ম দেওয়া হয়েছে।
সরকার ও শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে জনগণের প্রতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
শনিবার (২৫ মে) বিকেলে খুলনা মহানগরীর উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন গণতন্ত্র মঞ্চ খুলনা জেলা ও মহানগর শাখার আহ্বায়ক এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির খুলনা মহানগর সভাপতি খান লোকমান হাকিম। সঞ্চালনা করেন গণতন্ত্র মঞ্চ খুলনা জেলা ও মহানগরের সদস্য সচিব এবং গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা আহ্বায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল।
সভায় বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়রী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন ও নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মহিদুজ্জামান মহিদ।
প্রতিনিধি সভায় খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জিএসডির খুলনা জেলার সভাপতি শেখ আব্দুল খালেক, নাগরিক ঐক্য খুলনা জেলার সদস্য সচিব কাজী মোতাহার রহমান বাবু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি জেলা সম্পাদক কে এম আলীদাদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ খুলনা মহানগর আহ্বায়ক শেখ আবদুল হালিম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির খুলনা জেলার সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলার অন্যতম নেতা ওলিয়ার রহমান, নাগরিক ঐক্যের সাতক্ষীরা জেলার নেতা ড. রবিউল ইসলাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির যশোর জেলার সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব আজাদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যশোর জেলা সাধারণ সম্পাদক শওকত কামাল দ্বীপ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির বাগেরহাট জেলার সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ খান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি সরদার রইফ উদ্দিন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাতক্ষীরা জেলার সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাতক্ষীরা জেলার সংগঠক আব্দুস সাত্তার, গণসংহতি আন্দোলনের যশোর জেলার সংগঠক জান্নাতুল ফোয়ারা অন্তরা, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাতক্ষীরা জেলার সংগঠনক বায়েজিদ হাসান, খুলনা পাটকল শ্রমিক আন্দোলনের পক্ষে খালিশপুর জুট মিল শ্রমিক নেতা আলমগীর কবির প্রমুখ নেতারা।
পাটকল ও চিনিকল বন্ধের সমালোচনা করে কেন্দ্রীয় নেতারা আরও বলেন, বর্তমান সরকার দেশের ২৬টি পাটকল ও ছয়টি চিনিকল বন্ধ করে দিয়েছে। আজ চিনির দাম কোথায় গিয়ে ঠেকেছে, এর পুরো দায়ভার সাধারণ মানুষের ওপর গিয়ে পড়ছে। এটাই তারা করতে পারে। এটা উদ্দেশ্যমূলকভাবেই করা হয়। কাজেই আগামীতে যেহেতু পাট আমাদের নিত্যব্যবহার্য জিনিস, তাই এটা রাষ্ট্রায়ত্ত মালিকানায় উৎপাদন ও বিপণন করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৪
এমআরএম/এএটি