ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘রিমালের মতো একটি রাজনৈতিক ঘূর্ণিঝড় দেশের দিকে ধেয়ে আসছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৪
‘রিমালের মতো একটি রাজনৈতিক ঘূর্ণিঝড় দেশের দিকে ধেয়ে আসছে’ ছবি: শাকিল আহমেদ

বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের মতো আরেকটি রাজনৈতিক ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে৷ বিগত সময়ের তুলনায় দুর্নীতি বৃদ্ধি পেয়েছে৷ বেনজীর একা না, তার মতো মাফিয়ারা বাংলাদেশকে গিলে ফেলেছে৷ 

শুক্রবার (৩১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ বিপ্লবী রিকশা শ্রমিক আয়োজিত জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সাইফুল হক বলেন, স্যাংশন খাওয়া ব্যক্তিকে কেন পুলিশ প্রধান বানাতে হলো? গোটা রাষ্ট্র আজ দুর্নীতিবাজদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে৷ সাবেক সেনা প্রধানকেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে৷ যা সেনাবাহিনীর জন্য লজ্জাজনক৷ ক্ষমতার থাকার জন্য সরকার এসব কর্মকর্তাদের যা খুশি তাই করার সুযোগ করে দিয়েছে৷ এর দায়ভার সরকার এড়াতে পারে না৷ এদের সর্বোচ্চ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে৷ 

তিনি বলেন,অবৈধ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করলে ২০ লাখ গরিব মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন সম্ভব৷ সরকার বাংলাদেশকে লুটের রাজ্যে পরিণত করেছে৷ 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভোটের অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়াতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গরিব মানুষ৷ রাজনৈতিক দলগুলো সমাবেশে রিকশাশ্রমিকদের ব্যবহার করে৷ কিন্তু তাদের অধিকার নিয়ে কোনো কাজ করে না।

শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের অধিকার নিয়ে কোনো কাজ করে না৷ রিকশাশ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত৷ রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হলে পুলিশি নির্যাতন চলে৷ রিকশা গ্যারেজ পর্যন্ত নিরাপদ না৷ বাজার ব্যবস্থার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই৷ সবকিছু সিন্ডিকেটের দখলে৷ সরকার দেশ চালাতে পারছে না৷ 

রিকশাশ্রমিকদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আগামী বাজেটের আগে রিকশাশ্রমিকদের সঙ্গে বসুন, আলোচনা করুন৷ তাদের ভাগ্য উন্নয়নে থোক বরাদ্দ দিতে হবে৷ 

সম্মেলনে রিকশাচালকদের জীবনমান উন্নয়নে ৯ দফা দাবি তুলে ধরা হয়৷ দাবিগুলো হলো - পরিবেশবান্ধব রিকশার আধুনিকায়ন করা; শ্রমিকদের হয়রানি না করে তাদেরকে রাস্তায় চলতে দেওয়া ও শ্রমিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার তুই-তোকারি বন্ধ করা; রিকশা শ্রমিকদের জন্য সারা বছর কমদামে রেশনের ব্যবস্থা করা; রিকশা শ্রমিকদের জন্য উপযুক্ত বাসস্থান; শ্রমিক পরিবারের সদস্যদের উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ফ্রি শিক্ষা ও ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা; সরকারি চাকরিতে শ্রমিক পরিবারের সন্তানদের কোটাভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া; শ্রমিকদের অঙ্গহানি ভাতা ও মৃত্যুকালীন অনুদান প্রদান নিশ্চিত করা; রিকশাশ্রমিকদের নবায়নবিহীন ফ্রি লাইসেন্সের আওতায় নিয়ে আসা; বেকার, ভাসমান ও খণ্ডকালীন রিকশা শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৪
এসসি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।