ঢাকা: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে বেধকড় পিটুনি ও গুলিতে আহত হয়ে দীর্ঘ দুই মাসেরও বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে মারা যাওয়া ছাত্রদলকর্মী রমজান আলী জীবনের জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ জানাজা হয়।
জানাজার আগে রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই দেশ নিয়ে কিছু লোক ছিনিমিনি খেলছে। তেমনি ছিনিমিনি খেলেছে বিগত ১৫ বছর। এক এস আলম ছয়টি ব্যাংক দখল করে গ্রাহকদের ৯০ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে।
তিনি বলেন, একজন কিশোর ছেলে রমজান আলী জীবন। যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গুলি করেছে তাদের হৃদয় কাঁপেনি। কারণ তাদের চিন্তা ছিল আরেকজন বেনজীর হবে, হারুন হবে। তারা একজন শিশুকে গুলি করে হত্যা করলে শেখ হাসিনা তাদের বাহবা দেবে। তারা অনেক অর্থের মালিক হবে। যেমন বেনজীর হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পালিয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আমরা এখন রমজান আলী জীবনের জানাজা পড়বো। কিন্তু ফ্যাসিবাদের দোসররা কী করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামিন পায়? এই রমজান আলী জীবনদের রক্তের বিনিময়ে আপনারা অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে পেরেছেন। এই রক্তের মূল্য পরিশোধ করছেন ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার দোসরদের জামিন দিয়ে?
রিজভী বলেন, বিএনপির অস্তিত্ব যতদিন থাকবে এ দল ততদিন রমজান আলী জীবনের পরিবারের সঙ্গে থাকবে।
অভ্যুত্থান চলাকালে গত ৫ আগস্ট ঢাকার গুলিস্তানে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির ক্যাডারদের হাতে বেধড়ক পিটুনির শিকার ও গুলিবিদ্ধ হন রমজান আলী জীবন। সেদিন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় পর বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় জীবনের মৃত্যু হয়।
তারর বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার পাঠানবাড়ি গ্রামে। জীবন ঢাকায় মিরপুর ১১ নম্বর সেকশন এলাকায় স্ত্রী সাহারা খাতুনকে নিয়ে থাকতেন। তার স্ত্রী ছয়মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৪
ইএসএস/এইচএ/