ঢাকা: আওয়ামী লীগ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাংগঠনিকভাবে গণহত্যা করেছিল। অথচ কিছু রাজনৈতিক দল সুবিধার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের আশ্রয় দিচ্ছে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ১০০ দিন উপলক্ষে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের বিচার এবং শহীদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসনের দাবিতে সমাবেশটি করে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, সম্প্রতি জনগণ উপদেষ্টাদের নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। নাগরিক কমিটি এ বিষয়ে তাদের স্পষ্ট বিবৃতি চায়।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন জায়গায় এখনো আওয়ামী লীগের দোসররা রয়ে গেছে। তাদের হাতে রক্তের দাগ লেগে আছে। তাদের বিতাড়িত করুন। নয়তো ছাত্র জনতাকে আরেকটি যুদ্ধ করতে হবে। যেখানে ছাত্ররাই আগামীর রাষ্ট্রের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হবে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আওয়ামী দোসরদের আশ্রয় দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল টাকা বা অন্য কোনো উপায়ে আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ী শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীদের আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করছে। আপনারা এর থেকে বেরিয়ে আসুন। আপনাদের রাজনৈতিক যন্ত্র-কলাকৌশল ছাত্ররা দখল করে নেবে।
তিনি অভ্যুত্থানে আহতদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা টাকার বিনিময়ে রক্ত বিক্রি করবেন না। একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একদল নকল সার্টিফিকেট বানিয়ে আসল মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে। ২৪'এর বিপ্লবে আমরা এটা হতে দেব না।
নাগরিক কমিটির সদস্য আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে এ গণহত্যা করেছিল। ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন ছাত্রদের আন্দোলন দমিয়ে রাখতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট। আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে এদেশের নাগরিকদের হত্যা করেছে। যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য, তাদের দলীয়ভাবে ব্যবহার করেছে।
এ সময় তিনি আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২৪
এফএইচ/জেএইচ