ঢাকা: ১৮ বছর আগে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে জামায়াতে ইসলামীর চার নেতাকর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে হত্যা মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টন থানায় এ হত্যা মামলা করেন মো. ছোবেদার আলী নামে এক ব্যক্তি।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- দেশবন্ধু গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা (৬৫), কুড়িগ্রামের আবদুল কাদের মণ্ডল (৫৮), বনানীর মীর মারফত উল্লাহ সুমন (৫৫), রকিবুল ইসলাম উজ্জ্বল (৫৫), শেখ নজরুল ইসলাম বাদল (৪৮), আওয়ামী লীগের বনানীর জামাই বাজার ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মো. হিরণ (৫০), কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর হাফিজুর রহমান (৫৬), বনানীর মো. হাসান (৬১), মতিঝিলের শামীম খান (৬০), সিলেটের মনা মিয়া (৫০), বরিশালের সালাউদ্দিন রিপন (৫০), পল্টনের মিন্টু চৌধুরী (৬০), জেবিন (৪৪), রফিকুল ইসলাম (৪৬), কুমিল্লার রাসেল হায়দার (৬৫), কুমিল্লার জিয়াউর রহমান চৌধুরী (৪৮), আবদুল হান্নান (৪৫), কুমিল্লার আলমগীর হোসেন (৪৬), মাহবুবুল হক (৫৫), হুমায়ুন (৫০), কবির (৫০), মাহবুব আলী (৩৮), হাফেজ বেলাল (৫৫), কবির হোসেন (৪৩), মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি মনির হোসেন (৫০), মোকাররম হোসেন (৪২), মাজহারুল ইসলাম, আবুল কাশেম, বিপ্লব, সিরাজ, কামাল হোসেন, অজিউল্লাহ মাঝি, মহিবুল্লাহ, করিম, পারভেজ, বেলায়েত, বাবলু, সহিদুল্লাহ, বাপ্পাদিত্য বসু, রাশেদ খান ও আশিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মো. নাসিরুল আমীন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ২০০৬ সালে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে জামায়াতের চারজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা হয়েছে। মামলার বাদীকেও সেদিন আওয়ামী লীগের লোকজন পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। মামলার বাদী জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এ তিন দলেরই সমাবেশ ছিল। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ‘লগি-বৈঠা’ নিয়ে সেই সমাবেশে উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছিল। সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ পল্টন ময়দানে, বিএনপি নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এবং জামায়াতে ইসলামী বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে অবস্থান নিয়েছিল। সেদিন দুপুর থেকে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের সময় ‘লগি-বৈঠা’ সদৃশ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মানুষ মারার দৃশ্য পরবর্তী সময়ে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সেদিনের সেই সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। এর মধ্যে চারজন জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী ছিলেন। তারা হলেন- মোজাহিদ (২২), হাফেজ শিপন (২৩), হাফেজ মাসুম (২১) ও হাবিবুর রহমান (৪৫)। নিহত আরেকজন ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির কর্মী।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২৪
এমএমআই/এসআই