ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ পৌষ ১৪৩১, ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিন: রাজিব আহসান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪
নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিন: রাজিব আহসান জনসমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান।

বরিশাল: স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান বলেছেন, গণতন্ত্রের রাজনীতিতে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। তাই বর্তমান সরকারের উচিত দ্রুত নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া।

তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন, রক্ত, ঘাম, শ্রম আর অসংখ্য মানুষের জীবনের বিনিময়ে আজকের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন- এই সরকার যদি সফল না হয়, এই সরকার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে দেশ নতুন এক অন্ধকারের দিকে ধাবিত হবে। আমরাও সেটি বিশ্বাস করি, আর তাই প্রথম থেকেই আমরা এই সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছি। যেখানে যতটুকু প্রয়োজন সবটুকু করার চেষ্টা করছি এবং আমরা করতে চাই।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা মাঠে অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দেশব্যাপী অপতৎপরতা রুখতে ও গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে এই জনসমাবেশ হয়।

রাজিব আহসান বলেন, গত ৫৪ বছরে ধুকে ধুকে যে বাংলাদেশ এগিয়েছে এই বাংলাদেশ আমরা চাই না। আমরা শক্তিশালী বাংলাদেশ চাই, আমরা চাই সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ। আমরা চাই মানুষের বাকস্বাধীনতা, চাই নারীর ক্ষমতায়ন, আমরা চাই এদেশে কোনো খাদ্য সংকট থাকবে না। আমরা চাই পেশাজীবী মানুষ যে যার সম্মানমতো জায়গায় থাকবে কাজ করবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।  

রাজিব আহসান আরও বলেন, একটি চক্র আছে একটি গোষ্ঠী আছে যাদের উদ্দেশ্যই হলো শুধু বিএনপির ঘাড়ে বদনাম, দোষ চাপিয়ে দেওয়া। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। কারণ যারা এগুলো করছে তারা কিন্তু কিছুই করে না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরেও কোনো থানা খালি হয়নি, ৫ আগস্টের পরে কিন্তু বাংলাদেশের সব থানা খালি হয় গিয়েছিল। তখন আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মী সমর্থকরা দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে সারা দেশে বিভিন্ন অফিস থেকে শুরু করে মানুষের বাড়ি বাড়িও দিন রাত ২৪ ঘণ্টা সপ্তাহ পার করে মাসব্যাপী পাহারা দিয়েছি। আওয়ামী লীগ বলেছিল সরকারের পতন হলে ওদের ৫ লাখ লোক মারা যাবে কিন্তু সরকার পতনের পর বাংলাদেশে একজন লোকও মারা যায়নি বিএনপির কারও হামলায়।  

তিনি বলেন, কোনো সময়ে কোনো মানসিক হীনমন্যতায় ভোগার কারও কোনো কারণ নেই। আমার জন্মের পর থেকে এখানে হিন্দু এবং মুসলমান সম্প্রীতির বসবাস আমরা দেখেছি। আর সংখ্যালঘু বিষয়টিই আলোচনায় আসে শুধু রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করার জন্য। আমরা তাদের সঙ্গে আছি এবং থাকবো।  

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বিরোধী প্রচণ্ড চক্রান্ত হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বাংলাদেশের ভূমি দাবি করে বসেছে যা আপনারা দেখেছেন। এই দেশ বিরোধী চক্রান্তের বিরুদ্ধে আপনাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সবাইকে সচেতন থাকবে হবে। পাশাপাশি সরকারকে বলবো-নির্বাচন, মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেন।  

আগামী নির্বাচনে যদি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে আমার কিছু চাওয়ার থাকে তাহলে আমরা জন্মস্থান এখানেই (মেহেন্দিগঞ্জে) চাইবো। কারণ আমার জন্মস্থান এখানে, সুতরাং আপনাদের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা আছে, কিছু করার থাকলেও আছে। এ সময় তিনি দীর্ঘ বছর ধরে উন্নয়ন বঞ্চিত এ অঞ্চলের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।  পাশাপাশি সবাইকে নিয়ে এ এলাকায় নতুন কিছু করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন দিপেনের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন বরিশাল জেলা উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক সালাউদ্দিন পিপলু, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান মুক্তা, পৌর শাখা বিএনপির সদস্য সচিব রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী দিনু মিয়া, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নাঈম ইসলাম তুহিন ও সদস্য সচিব মাজারুল ইসলাম পারভেজ প্রমুখ।  

সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মেহেন্দিগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আহমেদ সেলিম এবং পৌর বিএনপির আহ্বায়ক রিয়াজ শাহীন লিটন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪
এমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।