ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

আ.লীগ একটা প্রতারক দল: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৫ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২২
আ.লীগ একটা প্রতারক দল: ফখরুল

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে একটা মিথ্যাবাদী প্রতারক দল দাবি করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ৭২-৭৫ সালেও তারা জনগণকে মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়েছিল। বলেছিল তারা বাংলাদেশকে সোনায় মুড়িয়ে দেবে।

বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতা দেবে, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করবে কিন্তু উল্টো একদলীয় শাসন ব্যবস্থা করেছে। আজকে একইভাবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে ক্ষমতায় এসেছে।

শুক্রবার (৪ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজকে আমাদের দলের ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ ৬ শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এই সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। তারা গায়ের জোরে বন্দুক দেখিয়ে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। তাদের বিরোধী নেতাকর্মীদের কারাগারে রাখা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। কারণ এরা জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। আজকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নাই। আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে একটা মিথ্যাবাদী প্রতারক দল। ৭২-৭৫ সালেও তারা জনগণকে মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়েছিল।  

মির্জা ফখরুল বলেন, আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, হিজাব পরে, হাতে তজবী নিয়ে জনগণের সামনে গিয়ে বলেছিল, অতীতে ভুল করে থাকলে ক্ষমা করে দিয়ে একটিবার ভোট দিন। মানুষ ভোট দিয়েছিল। আরও বলেছিল, ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে। বিনা পয়সায় সার দেবে, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। একটাও করেনি। উপরোন্ত এখন ৭০ টাকা কেজি চাল খাওয়াচ্ছে। সারের দাম ১০০ গুন বেশি। আর আওয়ামী লীগের সিল ছাড়াতো চাকরি পাওয়া যায়ইনা, উপরন্ত ২০ লাখ টাকা দিতে হয়। এই সরকার সম্পূর্ণভাবে একটা প্রতারক সরকার। জনবিরোধী সরকার।

সরকার খালেদা জিয়াকে মারাত্মকভাবে ভয় পায় দাবি করে তিনি বলেন, কারণ দেশনেত্রী যদি বাইরে আসেন, গাড়ির মধ্যে বসে যদি হাত দেখান তাহলে এদেশের মানুষকে কেউ আটকে রাখতে পারবে না। তাদের তখতে তাউস উল্টে ফেলে দেবে। সাহস থাকে ছেড়ে দেন না, সাহস থাকে তাকে বাইরে আসতে দেন। চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে দেন না কেন? কারণ এইভাবে যদি চলে যায় তাহলে তো আর কোনো কাটা থাকলো না।

তিনি বলেন, ভালোয় ভালোয় যদি বিদায় নিতে চান, তাহলে দয়া করে দুর্নীতি বন্ধ করেন। তা না হলে আপনাদের পিঠের চামড়া থাকবে না। কথা খুব পরিষ্কার, দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে, মজনুসহ সমস্ত রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মুক্ত করতে হবে। সেজন্য আমাদের আন্দোলন ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। ইস্পাত দৃঢ় ঐক্যের মধ্যে দিয়ে, আন্দোলন সংগ্রাম করে এই ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী সরকারকে পরাজিত করতে হবে। তাদের অবশ্যই নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকারতে ক্ষমতায় বসাতে হবে, এ ছাড়া তাদের কোনো উপায় নেই।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক নবী উল্লা নবী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, শ্রমিক দল নেতা মোস্তাফিজুল করিম মজুমদার, যুবদল নেতা গোলাম মাওলা শাহীন, এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।

এর আগে সকাল ১০টা থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানার নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে জড়ো হন। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব কারাবন্দি রফিকুল আলম মজনুসহ দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করে বিভিন্ন রকমের স্লোগান দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২২
এমএইচ/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।