ঢাকা, শুক্রবার, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

না.গঞ্জে বিএনপির সম্মেলনে সংঘর্ষ, আহত ১০

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২২
না.গঞ্জে বিএনপির সম্মেলনে সংঘর্ষ, আহত ১০

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির অধীনস্থ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সম্মেলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সম্মেলন পণ্ড হয়ে গেছে।

এসময় উভয় পক্ষের মারামারিতে ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের গ্যান্ড তাজ পার্টি সেন্টারে এ সম্মেলন হবার কথা ছিল। সংঘর্ষে পার্টি সেন্টারটির প্রধান ফটক, চেয়ার টেবিলে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিএনপিরসহ সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) বেনজীর আহমেদ টিটু এবং আবদুস সালাম আজাদ।

এটি জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি ও সদস্য সচিব মামুন মাহমুদের নিজের থানা। অথচ সকাল ৯ টায় সম্মেলনের সময় নির্ধারণ করে নেতাকর্মীদের জানানো হলেও এতে মারধরের শিকার হওয়ার ভয়ে উপস্থিত হননি মামুন মাহমুদ। অপরদিকে রবি উপস্থিত থাকলেও ঘটনার সময় কোন পক্ষকেই নিবৃত্ত করতে দেখা যায়নি তাকে বরং তিনি পালিয়ে সম্মেলনস্থল ছেড়ে ঘোষণা দেন থানা বিএনপির সম্মেলন স্থগিতের।

জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির এখানকার নির্বাচনী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন ও তার অনুগত কোন নেতাকর্মীদের সম্মেলনের ব্যাপারে জানানো হয়নি এবং তাদের কোন কমিটিতে রাখা হয় না। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ ছিল তাদের। এর মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সম্মেলনের দিন ঠিক করা হলেও স্থানীয় নেতাকর্মীদের জানানো হয়নি বলে অভিযোগ উঠে। পরে তাদের ক্ষোভের সঙ্গে সহমত জানায় থানা বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের একটি অংশ। তারা আজ সকাল থেকেই সম্মেলনস্থলে বিএনপি নেতা কাউন্সিলর ইকবালের নেতৃত্বে অবস্থান নেন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের তারা বিষয়গুলো অবহিত করবেন বলে জানান। পরে মামুন মাহমুদের পক্ষের একটি মিছিল সভাস্থলে স্লোগান নিয়ে প্রবেশ করার পরপরই তাদের উপর চড়াও হয় গিয়াসউদ্দিন বলয়ের নেতাকর্মীরা।

এতে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও মারামারি হয়। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।

জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে হাল্কা সমস্যা ছিল। এখন পরিস্থিতি শান্ত। সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। এক পক্ষ ভেতরে ও আরেক পক্ষ বাইরে অবস্থান নেওয়া ছিল, তবে আমি কাউকে আহত হতে দেখিনি।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ জানান, উনারা গত নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করেছে, আওয়ামী লীগ ঘেঁষা। পরিকল্পিতভাবে সম্মেলনকে পণ্ড করতে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা করা হয়েছে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য কাউন্সিলর ইকবাল জানান, এখানে নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত দলীয় পদ পদবি থেকে। কোন কর্মসূচি থাকলেও নেতাকর্মীদের জানানো হয় না। আজ থানা বিএনপির সম্মেলনের ব্যাপারেও নেতাকর্মীদের কাউকে জানানো হয়নি। থানার বাইরের বিভিন্ন স্থান থেকে ভাড়া করা লোক দিয়ে সম্মেলন করার চেষ্টা করা হয়। অথচ স্থানীয় নেতাকর্মীরা অবহেলিত থাকে। ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করতে গেলে তারা এ ঘটনা ঘটায়। পুরো থানা বিএনপির তৃণমূল ক্ষুব্ধ।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম জুয়েল জানান, আজ বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ছিল। এ নিয়ে কমিটির পদবঞ্চিতদের সঙ্গে সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিল।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, এটি তাদের অভ্যন্তরীণ একটি প্রোগ্রাম ছিল। সেখানে নিজেদের মধ্যে সমস্যা থাকতে পারে। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২২
এমআরপি/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।