ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমাদের প্রতিবাদের জায়গা শুধু প্রেসক্লাব নয়; ঢাকা শহরের কমপক্ষে শতাধিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা আছে সেখানেও প্রতিবাদ করতে হবে। এ আন্দোলন নিজ নিজ এলাকায় ছড়িয়ে দিতে হবে।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। নিউমার্কেটের সংঘর্ষে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেনের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকাসহ সারাদেশের মহানগরগুলোতে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি যৌথভাবে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।
ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক, খায়রুল কবির খোকন, মীর সরাফত আলী সপু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহহিয়া, কৃষকদলের হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা এখানে আজ প্রতিবাদ করছি নিউমার্কেটের ঘটনার জন্য। ঢাকা শহরের যত মার্কেট আছে সব মার্কেটেরই বেহাল অবস্থা। এখানে ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ করেছে, সেকারণে মারামারি হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বছরের পর বছর চাঁদা দিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে যত মামলা হয়েছে, প্রত্যেকটা মামলার আইও আছে। তাদের বাড়ি ঘরের ঠিকানা কিন্তু সবাই জানে। শেখ হাসিনা চিরকাল না। আর কতকাল তাও বলতে পারি না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় দল, জনগণ ও কর্মীদের সেন্টিমেন্ট বুঝে রাজনৈতিক কথা-বার্তা বলবেন। এমন কোনো কথা বলবেন না, যাতে নেতাকর্মীরা আপনাদের সন্দেহের চোখে দেখে। দলের মধ্যে কেউ যেন গণদুষমনের তালিকাভুক্ত না হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২২
এমএইচ/আরআইএস