ঢাকা: ঢাকা জেলা বিএনপির একটি বড় অংশকে বাদ দিয়ে বিভিন্ন উপজেলা, থানা ও পৌরসভায় তথাকথিত কর্মী সম্মেলন ও কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের একটি বিরাট অংশ।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ উসমানি বলেন, বিভিন্ন উপজেলা, থানা, পৌরসভার কাউন্সিল ও কমিটি গঠনে ঢাকা জেলা বিএনপি নেতারা স্বেচ্ছাচারী মনোভাব, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম করে যাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবেদ হোসেন, দোহার থানা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি নূরুল ইসলাম ব্যাপারী, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শাহিন খন্দকার, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর খালাসী, আবদুর রশিদ, ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিন, ঢাকা জেলা যুবদলের বর্তমান সভাপতি রেজাউল কবির পল, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ, যুবদল নেতা ফজলুল হক বেলায়েতি, সহ-সভাপতি তপন মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক দলের রফিকুল ইসলাম রফিক, সাবেক ভিপি জিএম আরিফুর রহমান সুজন, সাবেক জিএস এসএম রাসেল, ঢাকা জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক মনির হোসেন রানা, বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল আকন্দ, যুবদল নেতা শরিফ হোসেন, ডালিম, ঢাকা জেলা যুবদলের নজরুল ইসলাম খান, মহিলা দলের সায়মা ইসলাম, মিঠু ব্যাপারী, পাপ্পু ও রাকিবুজ্জামান রাকিব প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়- ঢাকা জেলা বিএনপির কাউন্সিলকে সামনে রেখে জেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ দলের একটি বড় অংশকে বাদ দিয়ে বিভিন্ন ইউনিটে তাদের অনুসারীদের নিয়ে কর্মী সম্মেলন করছে। দোহারে নয়, নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপায় নিজ গ্রামে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের বাড়িতে দোহার থানা ও পৌরসভা বিএনপির কর্মী সম্মেলন হয়েছে। একই দিনে একই স্থানে, একই অতিথি নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা, দোহার থানা ও পৌরসভার কর্মী সম্মেলন হয়েছে। একই ঘটনা ঘটেছে সাভার থানা ও পৌরসভা এবং আশুলিয়া থানায়।
হারুনুর রশিদ উসমানি বলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক চাচ্ছেন যেনতেন ভাবে উপজেলা, থানা ও পৌরসভা বিএনপির কমিটি গঠন করে সেই কমিটির মাধ্যমে জেলা বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন করতে। যাতে তারা পুনরায় নিজ নিজ পদে বহাল হতে পারেন। কিন্তু তারা এটা জানেন না যে, তাদের এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে দলের শত শত নেতাকর্মী প্রস্তুত রয়েছেন। কিন্তু দলের বৃহত্তর একটি অংশ বাদে কর্মী সম্মেলন বা কমিটি গঠন কখনোই দলের জন্য মঙ্গলজনক হতে পারে না। তাই দলের ত্যাগী, পরীক্ষিত ও যোগ্য নেতাদের সমন্বয়ে কমিটি পুনর্গঠনের জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি উপেক্ষা করে বিতর্কিত কমিটির মাধ্যমে জেলা বিএনপির কাউন্সিল হলে যে কোনো পরিস্থিতির দায়ভার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিতে হবে। চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ঢাকা জেলা বিএনপির কমিটি গঠন সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা সমাধানের বিকল্প নেই। আশা করি দলের বৃহত্তর স্বার্থে জেলা বিএনপি পরিস্থিতি বিবেচনায় যত দ্রুত সম্ভব একটি যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছাবেন। অন্যথায় তাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ। জেলা বিএনপির কাউন্সিল নিয়ে যে কোনো ষড়যন্ত্র কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২২
এমএইচ/এমএমজেড