ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

শরীয়তপু‌রে দুগ্রু‌পের সংঘ‌র্ষে আ.লীগ নেতা নিহত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩০ ঘণ্টা, মে ৩, ২০২২
শরীয়তপু‌রে দুগ্রু‌পের সংঘ‌র্ষে আ.লীগ নেতা নিহত

শরীয়তপুর: আ‌ধিপত‌্য বিস্তার‌কে কেন্দ্র ক‌রে শরীয়তপু‌র সদর উপ‌জেলার চিতলিয়া ইউনিয়‌নে দুই গ্রু‌পের মধ্যে সংঘ‌র্ষে কুদ্দুস বেপারী নামে আওয়ামী লীগের এক নেতা নিহত হ‌য়ে‌ছেন। এ ঘটনায় আহত হ‌য়ে‌ছেন আরও ১৭ জন।

 

মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) সকা‌লে ঈদের জামাত শেষে বা‌ড়ি ফেরার প‌থে চিতলিয়া ইউনিয়নের মজুমদার কা‌ন্দি গ্রা‌মে এ সংঘ‌র্ষের ঘটনা ঘ‌টে।

নিহত কুদ্দুস বেপারী চিত‌লিয়া ইউনিয়‌নের মজুমদার কা‌ন্দি গ্রা‌মের বা‌সিন্দা ও চিত‌লিয়া ইউনিয়‌ন আওয়ামী লী‌গের ২ নম্বর ওয়ার্ড সভাপ‌তি।

নিহ‌তের স্বজন ও পু‌লিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকা‌লে চিতলিয়া ইউনিয়‌নের মজুমদার কা‌ন্দি গ্রা‌মে ঈদের জামাত শে‌ষে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম‌্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুস সালাম হাওলাদার এবং উপজেলা আওয়ামী লী‌গের সহ-সভাপ‌তি হারুন হাওলাদারের সমর্থক‌দের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লী‌গের সভাপ‌তি কুদ্দুস বেপারীসহ প্রায় ১৭ জন গুরুতর আহত হয়। তাদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি করা হয়। এদের ম‌ধ্যে কুদ্দুস বেপারী‌কে মৃত ঘোষণা ক‌রেন চি‌কিৎসকরা। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুইজন‌কে ঢাকায় পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। এ ঘটনায় চিত‌লিয়া এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ কর‌ছে। সংঘ‌র্ষ এড়া‌তে অতি‌রিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হ‌য়ে‌ছে।  

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার বলেন, দ্বিতীয় ধাপে চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বাতিলের পর নতুন করে ১৫ জুন পুনঃনির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই হারুন হওলাদার ও তার সমর্থকরা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছে। আজ ঈদের দিনে পরিকল্পিকভাবে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করে তারা। তাদের হামলায় চিত‌লিয়া ইউনিয়‌ন আওয়ামী লী‌গের ২ নম্বর ওয়ার্ড সভাপ‌তি কুদ্দুস বেপারী মারা গেছে। এর আগেও বহুবার তারা নিরীহ মানুষের ওপর হামলা করেছে।

অপরদিকে শরীয়তপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হারুন হওলাদারের বক্তব্যের জন্য বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হারুন হাওলাদার ও ছালাম হাওলাদারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে আজ ঈদের নামাজ শেষে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।