ঢাকা: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে ‘জাতীয় ঐক্য’ সৃষ্টির লক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
সোমবার (২৩ মে) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার থেকেই এই আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হবে।
দলের এ সিদ্ধান্ত জানাতে মঙ্গলবার (২৪ মে) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে (মঙ্গলবার) থেকেই এই আলোচনা শুরু হবে।
এর মূল উদ্দেশ্য কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূল উদ্দেশ্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার। এই ফ্যাসিবাদী সরকার যারা সব অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে, যারা মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করছে। এগুলো ফিরিয়ে নিয়ে আসা, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করাই মূল লক্ষ্য। এসব দাবি আদায়ে আন্দোলন শুরু করতেই আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, আমাদের মূল দাবি হলো দেশনেত্রী খালেদা জিয়াসহ সব নেতাকর্মীদের মুক্তি, দ্বিতীয়ত: এই সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। একই সঙ্গে সংসদ বাতিল করতে হবে। তারপরে পুনর্গঠিত নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। সেই নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে সংসদ গঠিত হবে এবং সরকার গঠিত হবে। আমাদের পক্ষ থেকে এই বেসিক দাবিগুলো উপস্থাপন করা হবে। তারপর আলোচনার মাধ্যমে অন্যান্য দলের মতামতের ভিত্তিতে একটা একক দাবি তৈরি করা হবে। তার ভিত্তিতে আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু করবো।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এটাকে আমরা জোট বলছি না। আলোচনার মধ্যে দিয়ে ফরমেট নির্ধারিত হবে।
২০দলীয় জোট ও জামায়াতের সঙ্গে আলোচনা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সবার সঙ্গে আলোচনা হবে। জামায়াতও জোটে আছে তাদের সঙ্গেও আলোচনা হবে। ২০দলীয় জোট এবং ঐক্যফ্রন্ট এখনও বিলুপ্ত হয়নি এই জোটের কি হবে সেটাও আলোচনার মধ্যে সিদ্ধান্ত হবে। আলোচনার মাধ্যমেই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২২
এমএইচ/আরআইএস