ঢাকা: নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারকে সরানো যাবে না জেনে বিএনপি হত্যা-ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
শনিবার (৪ জুন) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে তারা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, হত্যার হুমকি ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এই সমাবেশের আয়োজন করে। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। এতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পদক এবং মহানগর দক্ষিণের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নেতৃত্ব দেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা খুনি জিয়া একাত্তরের ঘাতকদের সাথে আঁতাত করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তির মদদে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। সেদিন হত্যাকাণ্ডের মূল নায়ক ছিল জিয়াউর রহমান। এখন তাদের উত্তরসুরিরা স্লোগান দিচ্ছে, পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, যারা জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে, তাদের উত্তরসুরিরাই দিচ্ছে এই ধরনের স্লোগান। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে বারবার হত্যাচেষ্টা করার চেষ্টা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতা তারেক রহমান গ্রেনেড হামলা করে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। আজকে যখন পদ্মাসেতু উদ্বোধন করা হবে এবং জাতীয় নির্বাচনের দেড় বছর আছে, দেশকে যখন উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা; তখন তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। ব্যালটের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে সরাতে পারবে না জেনে ষড়যন্ত্রকারীরা অন্য পথ বেছে নিয়েছে। পেছনের দরজা দিয়ে কীভাবে ক্ষমতায় আসা যায়, এজন্য তারা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে চায়। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের অতন্দ্র প্রহরীর মতো সতর্ক থাকতে হবে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, একাত্তরের খুনি, পঁচাত্তরের খুনি ও ২১ আগস্টের খুনি—এরা এখন অভিন্ন শক্তি। এই খুনিদের বাংলাদেশের রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই। তারা এখন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর জন্য উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়, উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে।
তিনি বলেন, আজকে যখন বাংলাদেশে স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে, তখন তারা শেখ হাসিনাকে হত্যার কথা বলছে। তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য একটাই, দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের উন্নয়নের বিপক্ষে দাঁড়ানো। তারা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির বিরুদ্ধে। যদি সন্ত্রাসী কথাবার্তা বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেন, তাহলে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি কামরুল হাসান রিপনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু। সমাবেশ সঞ্চলনা করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২২
এসকে/এমজেএফ