ঢাকা: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মতো আরেকটি বিজয়ের আনন্দ পদ্মা সেতু।
শনিবার (১৮ জুন) বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাতে কেন্দ্রীয় ১৪ দল এই আনন্দ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে আমির হোসেন আমু বলেন, আমাদের বিদেশে কোনো প্রভু নেই। আওয়ামী লীগ কোনো শক্তির কাছে জিম্মি নয়, আওয়ামী লীগের শক্তি এ দেশের জনগণ। জনগণ যাদের ক্ষমতার উৎস, তাদের অন্য কোনো শক্তির কাছে জিম্মি হতে হয় না।
আগামী ২৫ জুন বাঙালি জাতির জন্য আরও একটি বিজয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই নেতা বলেন, ১৯৭১ সালে বিজয় লাভ করার পর দেশবাসী যেভাবে আন্দ করেছিল, আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনে আমরা একই ভাবে আনন্দ করবো। এটা আমাদের জন্য আরও একটি বিজয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন বাঙালি জাতি কারও কাছে মাথা নত করতে পারে না।
আমু বলেন, দেশে যখন শান্তি বিরাজ করছে তখন দেশকে অস্থিতিশীল করতে পাঁয়তারা করছে বিএনপি। দিবাস্বপ্ন দেখে লাভ নেই, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের মানুষ আবারও আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে।
সমাবেশে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করেছেন। এই সেতু আমাদের সক্ষমতার ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের জন্য গৌরবের। শেখ হাসিনা যখন পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করেন তখন দেশবিরোধীরা নানা কথা বলেছে। আজ পদ্মা সেতুর জন্য দেশের মানুষ তথা দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের অনেক আনন্দ।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, অপশক্তিকে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে রুখতে হবে। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি যারা করে তাদের আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এ দেশের রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে। তাদের বিতাড়িত করতে পারলে দেশে শান্তি ফিরে আসবে, আমরা শান্তিতে থাকতে পারবো।
জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার বলেন, সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। তেমনি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে তাঁর নেতৃত্বে দেশ এগিয় যাবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং ঢাকা মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, গণআজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ড. ওয়াজেদুল ইসলাম খান প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলটি জিপিও, পল্টন মোড় ঘুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২২
এসকে/এমজেএফ