ঢাকা: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো না জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, তাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য যে ধরণের সরঞ্জাম দরকার সেটা বাংলাদেশে নেই। সেজন্য তাকে চিকিৎসকরা বিদেশে নিতে বলেছেন।
সোমবার (২০ জুন) রাতে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, রোববার রাতে দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তিনি (নজরুল ইসলাম খান) এভার কেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে গিয়েছিলেন।
কেমন দেখলেন জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে তিনি খুবই দুর্বল। তারতো এখানে ভালো চিকিৎসা হচ্ছে না চিকিৎসকরাই বলেছেন। উনার যে চিকিৎসা দরকার সেটা এখানে নেই। সেজন্য বিদেশে নেওয়া দরকার।
আপনাদের সঙ্গে খালেদা জিয়া কথা বলেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আস্তে করে একটু কথা বলেছিলেন। তারমধ্যেই আবার অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে গেছে। মানে তার শরীর খুব একটা ভালো না। তার চিকিৎসা জরুরি কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন তার জন্য যে মেডিক্যাল সাপোর্ট দরকার সেটা বাংলাদেশে নেই। একটা করতে গেলে আর একটা ব্রেক করে। সেগুলো কভার করার মতো ফ্যাসিলিটিস এখানে নেই। সেজন্য তারা বলছেন এখানে তার পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার সুযোগ নেই, এটা দেশের বাইরে আছে।
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, এখানের চিকিৎসকরাতো তাকে চিকিৎসা দিতেও ভয় পাচ্ছেন। যেমন তার লিভার থেকে রক্ত বের হচ্ছিল। যার রক্তপাত হয় তার রক্ত হালকা করাতো আবার বিপদজ্জনক। অথচ হার্টে স্টেন করা হয়েছে। এই রোগীকেতো রক্ত যাতে জমাট না বাধে সেই ওষুধ দেওয়া হয়। কিন্তু ওনাকেতো সেটাও দেওয়া যাচ্ছে না। ওটা দিলে আবার রক্ত পাতলা হয়ে গেলে রক্তপাত হতে পারে। এই যে সমস্যাগুলো এগুলো কভার করার জন্য যে ফ্যাসিলিটিস দরকার সেটাতো আমাদের দেশে নেই।
খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে নতুন করে চেষ্টা করা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, সেটা আমি জানি না। পরিবারের পক্ষ থেকে কি করা হচ্ছে সেটা তারা বলতে পারবেন।
গত শুক্রবার (১০জুন) গভীর রাতে বুকে ব্যথা নিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। শনিবার দুপুরে খালেদা জিয়ার হৃৎপিণ্ডে এনজিওগ্রাম করে একটি ব্লক অপসারণ করে স্টেন্টিং করা হয়। তার হৃৎপিণ্ডে আরও দুটি ব্লক রয়েছে। তবে সেখানে স্টেন্টিং করার মতো শারিরীক অবস্থা নেই বলে জানান চিকিৎসকেরা। পাঁচ দিন সিসিইউতে থাকার পর গত ১৫জুন তাকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
এমএইচ/এনএইচআর