ঢাকা: পলাশীর প্রান্তরের বিশ্বাস ঘাতক মীর জাফর ও ঘষেটি বেগমরা বেঁচে না থাকলেও আজ তাদের বংশধর কুশীলবরা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মানচিত্রকে আধিপত্যবাদীদের পদতলে সমর্পণ করেছে। দেশ এখন আধিপত্যবাদ ও ব্রাক্ষণ্যবাদীদের চারণভূমিতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিকেলে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত ২৩ জুন ঐতিহাসিক পলাশী ট্রাজেডি দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইরান বলেন, পলাশী থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশবিরোধী শক্তিকে রুখে দাঁড়াতে হবে। ১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে বিশ্বাসঘাতকদের কারণে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল ১৯০ বছরের জন্য। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ফাঁদে পড়ে বিশ্বাসঘাতক চক্র শুধু দেশের স্বাধীনতাই বিকিয়ে দেয়নি, ভারতে ইংরেজ শাসনের পটভূমিও সৃষ্টি করেছিল।
তিনি বলেন, পলাশীর প্রান্তরে কোনো যুদ্ধ হয়নি, হয়েছিল যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। ভবিষ্যৎ চিন্তা না করে সন্ধি ও চুক্তি না করলে যে ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে, পলাশী আমাদের সামনে সেই শিক্ষা হয়ে আছে। বিশ্বাসঘাতকদের প্রতি ক্ষমা যে বিপদ ডেকে আনে, তারও শিক্ষা রয়েছে পলাশী ট্রাজেডির মধ্যে।
ঢাকা দক্ষিণ লেবার পার্টির সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন, লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম চৌধুরী মিলন, লেবার পার্টির মহিলা সম্পাদিকা নাছিমা নাজনিন সরকার, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা জাকির হোসেন, ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২২
এমএইচ/এমজেএফ