ঢাকা, রবিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সংকট কাটাতে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছেন: কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২২
সংকট কাটাতে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছেন: কাদের

ঢাকা: সারা বিশ্বে জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বাড়ার ফলে বাংলাদেশে এর নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মানুষকে একটু স্বস্তি দিতে শেখ হাসিনার ঘুম নেই বলেও তিনি জানান।

শনিবার (১৩ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মহিলা শ্রমিক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
  
ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা বিশ্বের সংকটে আজ বাংলাদেশেও একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সারা বিশ্বেই জিনিস পত্রের দাম বাড়ছে। আমরা জানি বাংলাদেশের জনগণের কষ্ট হচ্ছে। আমরা বলতে পারি এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকারের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘুম নেই। তিনি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছেন। শেখ হাসিনার ঘুম হারাম হয়ে গেছে কীভাবে মানুষের একটু স্বস্তি দেওয়া যায় সে চেষ্টা তিনি করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, এই সংকটকে কেন্দ্র করে ফ্রান্সে বিরোধী দল সরকার উৎখাতের বিক্ষোভ করেনি, যুক্তরাষ্ট্রে বিরোধী দলের সরকার উৎখাতের বিক্ষোভ হয়নি। জার্মানিতে সরকারের বিরুদ্ধে প্রটেস্ট হয়নি, জাপানে বিক্ষোভ করেনি। আমরা সহযোগিতা চেয়েছিলাম। সারা বিশ্ব সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আর বাংলাদেশে তারা সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন, তারা মিছিল করুক। যখন মিছিল, মিটিং করতে পারছে তখন তারা বলছে বিদেশিদের চাপে সরকার মিছিল করতে দিচ্ছে। আমি বলবো বিদেশি শক্তির কাছে আমরা মাথানত করি না। মাথানত করার লোক শেখ হাসিনা নয়। কারো কাছে আমরা মাথানত করি না। আমাদের সমস্যা আমাদের সমাধান করতে হবে। বিএনপির মহাসচিব বেপরোয়া টাইগার হয়ে গেছে। আগুন নিয়ে আসবেন না বলে দিচ্ছি। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করুন। কিন্তু আগুন সন্ত্রাস নিয়ে যদি নামতে চান তাহলে বলবো, আগুন সন্ত্রাস যদি নিয়ে আসেন জনতার প্রতিরোধ সুনামিতে পরিণত হবে। জবাব দেওয়া হবে। সেটার জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের বলবো প্রত্যেকে কথাবার্তায় আচার আচারণে সংযত হতে হবে। এ সময় দায়িত্বহীন কথা বার্তা বলা সঠিক নয়। ক্ষমতার দাপট দেখানো সমীচীন নয়। ঠাণ্ডা মাথায় কথা বলতে হবে, মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিরা থাইল্যান্ডে নিরাপদে পালিয়ে যায়। কে পাঠিয়েছিল, জিয়াউর রহমান। খুনিদের অন্যান্য দেশে পাঠিয়েছিল, চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল জিয়াউর রহমান। মোশতাকের দেওয়া ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে জিয়াউর রহমান আইনে পরিণত করেছিল যাতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার না হয়। এ ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না। বিএনপি আমাদের শত্রু না। আবার ইতিহাস বলে তারাই আমাদের সঙ্গে শত্রুতা করেছে। বার বার তারা শত্রুতা করেছে।

মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সুরাইয়া আক্তারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সংগঠনের সহ-সভাপতি শামসুর নাহার ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক রহিমা আক্তার সাথী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২২
এসকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।