ঢাকা, রবিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারী-বিশ্বাসঘাতকদের বিচার করতে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২২
‘১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারী-বিশ্বাসঘাতকদের বিচার করতে হবে’

ঢাকা: মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, বিজয়ের আনন্দ ক্ষণস্থায়ী। পরাজয়ের গ্লানি চিরস্থায়ী।

তাই পরাজয়ের গ্লানি মোচন করার জন্য ৭১-এর পরাজিত শক্তি জাতির পিতাকে হত্যা করে। জাতির পিতা ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারী, ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড ১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারী, নেপথ্য কারিগর ও পরে হত্যাকারীদের রক্ষাকারী ঘৃণিত বিশ্বাসঘাতকদেরও বিচার করতে হবে।

সোমবার (১৫ আগস্ট) ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সকালে প্রতিমন্ত্রী শিশুদের নিয়ে শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে স্থাপিত জাতির পিতার ম্যুরালে পুষ্পস্তবকসহ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রথম স্বপ্ন ছিল এদেশের স্বাধীনতা। দ্বিতীয় স্বপ্ন ছিল এদেশের মানুষের মুক্তি। তাই স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই তিনি অর্থনৈতিক মুক্তি সংগ্রামের ডাক দেন। সবুজ বিপ্লবের কর্মসূচি শুরু করেন। তখনই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। পৃথিবীতে অনেক রাষ্ট্র নায়কদের হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু এভাবে পরিবারের সদস্য ও শিশুদের হত্যা করা হয়নি।   

ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করে আবারও সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। তিনি প্রতিনিয়ত বঙ্গবন্ধুর নানা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। তাই আজ বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। শোককে শক্তিতে পরিণত করে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা। দেশ আজ তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে রূপান্তরিত হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর অদম্য বাংলাদেশ হিসেবে। শিশুদের জন্য বাস্তবায়িত হচ্ছে বিভিন্ন প্রকল্প ও কার্যক্রম।  

বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন- জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সাকিউন নাহার বেগম, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব মো. ওয়াহিদুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তারা।  

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির শোকের দিন। ১৫ আগস্ট শোককে শক্তিতে পরিণত করে এগিয়ে যাওয়ার দিন। শোককে শক্তিতে পরিণত করার প্রতীক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যার সুযোগ্য নেতৃত্বে নির্মাণ হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু এবং ২০৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত হবে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। যে দেশের নেতৃত্বে থাকবে আজকের শিশুরা।  

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে কোরআন খানি, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে শিশুরা বঙ্গবন্ধু লেখা আমার দেখা নয়া চীন থেকে পাঠ, ছড়া, কবিতা, পুঁথি পাঠ করে। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে বিশেষ ‘শিশু সংখ্যা’ পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২২
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।