ঢাকা: ভারতের কাছে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় রাখার অনুরোধ করেছি বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র সমালোচনা করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। বলেছেন, তার এই বক্তব্য অসাংবিধানিক এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে অবৈধ সরকারের এই অথর্ব পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমেরিকায় গিয়ে অনুরোধ করেছিলেন তারা যেন বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা করে। আর এখন প্রকাশ্যে জানালেন যে, হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে ভারতের কাছে অনুরোধ করেছেন। তার মানে কী এই সরকারের কোনো বন্ধু নেই, তারা দেশকে বিশ্ব রাজনীতিতে বন্ধুহীন রাষ্ট্রে পরিণত করেছে? একটা বিষয় স্পষ্ট যে সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপের জন্য অনুরোধ করছে। এভাবে যদি তারা কেউ যুক্তরাষ্ট্র, কেউ চীন, কেউ ভারত কিংবা রাশিয়ার শরণাপন্ন হতে থাকেন, তাহলে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব নিশ্চিতভাবেই হুমকির মুখে পড়বে।
গণতন্ত্র মঞ্চের এই নেতা বলেন, স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে অন্য দেশের সঙ্গে দেন দরবার করলেও জনগণের কাছে আসে না। তারা যে জনগণের রায়ের তোয়াক্কা করে না, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে তা আবারও স্পষ্ট হয়েছে। সাহস থাকলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতায় থাকতে জনগণের সামনে আসেন। কারো হাতে পায়ে ধরে আর টিকতে পারবেন না। কোনো দেশেই আপনাদের ঠাঁই হবে না।
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, এদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আওয়ামী লীগ সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। এদেশে সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই। আমাদের সবার পরিচয় এক। আমরা বাংলাদেশি। মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, গারো, সাঁওতাল, চাকমা, মারমাসহ সব গোত্র, ধর্ম, বর্ণের মানুষ মিলেই আমাদের বাংলাদেশ।
সরকারকে হুঁশিয়ার করে মান্না বলেন, কোনো উস্কানি দিয়ে এই সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করবেন না। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে দেশের আপামর জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে আপনাদের প্রতিহত করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২২
এমএইচ/এমএমজেড