খুলনা: বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে রূঢ় ব্যবহার করায় খুলনার পাইকগাছার সাধারণ সম্পাদক এসএম এনামুল হক এবং ১৫ আগস্টের শোক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ায় জেলা দলের সদস্য মো. দিদার হোসেন ও তেরখাদা যুগ্ম আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন জমাদ্দারকে শোকজ করা হয়েছে। কেনো তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার জবাব দিতে সাত দিনের সময় দেওয়া হয়েছে।
পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার (২০ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছেন খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান ও সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী।
বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, ৩১ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি সফলে খুলনায় বাসযোগে আসার সময় পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডা. আব্দুর মজিদ এবং সিনিয়র নেতা আব্দুর মজিদ গোলদারের সঙ্গে গাড়ির ভেতর নেতাকর্মীদের সামনে গালিগালাজসহ অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। ৭ আগস্ট কৃষকদলের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি সফলে নেতাকর্মীরা খুলনা শহরে এলে ফেরিঘাট মোড়ে কৃষক দলের সভাপতি মেছের আলীকে নেতাকর্মীদের সামনে গালিগালাজসহ মারতে উদ্যত হন।
১১ এপ্রিল পাইকগাছা বিএনপির অফিসে সভা চলাকালীন মজিদ গোলদারকে একইভাবে অফিস থেকে বের করে দেন। এছাড়া খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির কর্মসূচিতে খুলনায় আসার পথে চাঁদখালী ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নানের সঙ্গে গাড়ির ভেতর একই আচরণ করেন। প্রতিটি ঘটনার পর নেতারা এসএম এনামুল হককে মৌখিকভাবে সতর্ক করে আসছেন। বিএনপির দায়িত্বশীল পদে থেকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে একেরপর এক এরূপ আচরণ দলীয় গঠনতন্ত্র বিরোধী এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণ। কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এ মর্মে সাতদিনের মধ্যে খুলানা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক/ সদস্য সচিব বরাবর কারণ ব্যাখ্যা পূর্বক জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য মো. দিদার হোসেন ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর শোক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিয়েছেন। বিএনপির দায়িত্বশীল পদে থেকে এ রূপ আচরণ দলের গঠণতন্ত্র বিরোধী ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিল।
আবার তেরখাদা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন জমাদ্দার অনুরুপভাবে তার এলাকায় ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর শোক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিয়েছেন। বিএনপির দায়িত্বশীল পদে থেকে এ রূপ আচরণ দলের গঠণতন্ত্র বিরোধী ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিল। কেনো তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা দেওয়া হবে না এ মর্মে সাতদিনের মধ্যে খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিবের কাছে কারণ ব্যাখ্যাপূর্বক জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২২
এমআরএম/এএটি