বরিশাল: বরিশালের গৌরনদীতে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতাকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার দিবাগত রাতে এক ব্যবসায়ীর কুলখানি থেকে ফেরার পথে গৌরনদী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. আবুল হোসেনকে (৩৮) এবং রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার টরকীতে গৌরনদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রোকনুজ্জামানকে (৩৫) পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়।
এদের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও যুবদল নেতাকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গৌরনদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রোকনুজ্জামান জানান, পারিবারিক কাজে টরকী বন্দরে যাওয়ার পথে বার্থী তারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে বসে যুবলীগের নেতাকর্মীরা তার পথ রোধে করে। এ সময় তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে যায়।
পরে খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসায় জন্য নিয়ে যেতে চাইলে বাধার মুখে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এদিকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৌরনদী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. আবুল হোসেন জানান, টরকী বন্দরের ব্যবসায়ী মরহুম মন্টু শরীফের কুলখানি অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে শনিবার রাত ৮টার দিকে টরকী বন্দরের মসজিদ মার্কেটের সামনে বসে তার ওপর হামলা চালান যুবলীগ কর্মীরা। হামলার সময় তারা রড, লাকরি ও কাঠের বাতা দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে যুবলীগকর্মী রাশেদ হাওলাদার ও সজীব তালুকদারে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে গৌরনদী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাহাবুব বলেন, হামলার সঙ্গে যুবলীগের কোনো নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততা নেই। তারপরেও খোঁজ নিয়ে অভিযোগের ব্যাপারে সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২২
এমএস/এমজেএফ