নারায়ণগঞ্জ: তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আজ মানবাধিকারের কথা বলা হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান হাজার হাজার সেনাবাহিনীর সদস্যদের হত্যা করেছিল। বিনা বিচারে সেনা অফিসারদের ফাঁসি দিয়েছে। অনেক সময় এক রশিতে দুই জনকে ফাঁসি দিতে হয়েছে। অনেক সময় ফাঁসি দেওয়ার ছয় মাস পর রায় হয়েছে। সেই সময় ক্যাঙ্গারু কোর্টে বিচার হতো।
বুধবার (৩১ আগস্ট) নারায়ণগঞ্জ শহরের ২ নং রেলগেট এলাকায় সিটি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের মাঝে কল্যাণ ট্রাস্ট্রের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের সময় পতাকা পরিবর্তনের কথাও বলা হয়েছিল। চাঁদ তারার পতাকা। অর্থাৎ তারা দেশ পরিবর্তন করতে চেয়েছিল। আমি ইতিহাস জানি বলেই বলছি। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর সমস্ত খুনিদের পুনর্বাসন করেছেন। ’৮৯ সালের নির্বাচনের পর শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান সাত কোটি মানুষের মধ্যে আর কাউকে খুঁজে পাননি।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় সাক্ষী আসামিরা জিয়াউর রহমানের কথা বলেছেন। আমি আওয়ামী লীগ নেতাদের বলব, এগুলো খুঁজে বের করুন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আজ যখন ১৫ আগস্ট নিজের জন্মদিন বলে খালেদা জিয়া কেক কাটে, এখন আবার মিলাদ পড়ায়। এই তারিখ তার পাসপোর্ট, সার্টিফিকেট কোথাও নেই। এমনকি করোনা টেস্টের রিপোর্টেও নেই। সেই ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি ১৫ আগস্ট জন্মগ্রহণ করলেন। আগে অন্য তারিখে জন্মদিন পালন করতেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমি বাবার মুখে শুনেছি, তিনদিনে বিচার হয়েছে, তারপর ফাঁসি হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে তিনমাস পর বিচার হয়েছে, তার আগেই ফাঁসি হয়েছে। আজ তারা ঢাকার রাস্তায় মানবাধিকারের জন্য সমাবেশ করেছে। ১৫ আগস্টের সাথে জিয়াউর রহমান যুক্ত আর ২১ আগস্টের সাথে খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া জড়িত। আমি নিজেও ২১ আগস্টে আহত হয়েছিলাম। খালেদা জিয়া সেদিন বলেছিলেন— তদন্ত করতে হবে না।
অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২২
এমআরপি/এমজেএফ