ফরিদপুর: ফরিদপুর মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কমিটিতে সক্রিয়দের পরিবর্তে অনেক নিষ্ক্রিয়দের নামসহ মৃত ব্যক্তির নামও রয়েছে।
বুধবার (৩১ আগস্ট) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনুমোদনক্রমে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এ কমিটি প্রকাশ করা হয়। ৩১ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটিতে ১১ জন যুগ্ম আহ্বায়ক ও ১৪ জন সাধারণ সদস্য রয়েছেন। এদের মধ্যে এক নম্বর সদস্য মোস্তাক মাহমুদ পরাগ চারমাস আগে মারা গেছেন।
এর আগে ১৫ এপ্রিল জেলা বিএনপির ১৯ সদস্যবিশিষ্ট এবং মহানগর বিএনপির ১৭ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে নতুন এ কমিটি প্রকাশের পর থেকে অনেকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি অনেকে তীব্র আপত্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তৈয়ব আক্তার টুটুল এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, যারা পরীক্ষিত, রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে ছিল, এখনও আছে এবং ভবিষ্যতে থাকবে তাদের নাম জেলা এবং মহানগর কমিটিতে না থাকায় হতবাক হয়েছি। কমিটিতে যাদের নাম এসেছে তাদের মধ্যে অনেকেই অঙ্গ সংগঠনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে আছে। আবার কেউ কেউ দলের কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পৃক্ত নাই এমনকি মৃত ব্যক্তির নামও আছে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ুম জঙ্গি বলেন, আমি নিজেই বিস্মিত এটি দেখে। ইতোপূর্বে এক নম্বর সদস্য পরাগের মৃত্যুর বিষয়টি বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের সভায় জানানো হয়েছিল। তার জন্য শোক প্রস্তাবও উত্থাপন করা হয় সভায়। তারপরেও তার নাম এসেছে। তিনি বলেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ও আমার যৌথ স্বাক্ষরে যাদের নাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের কাছে জমা দিয়েছিলাম তাদের মধ্যে একটি নামও নাই।
এ ব্যাপারে জানতে ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও বক্তব্য জানা যায়নি।
তবে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, আগের কমিটিই ১৭ সদস্য থেকে ৩১ সদস্য করা হয়েছে। এ কারণে হয়তো কেন্দ্র মোস্তাক মাহমুদ পরাগের নামটি কেটে দিতে ভুল করেছে।
কমিটি নিয়ে নেতাকর্মীদের ক্ষোভের ব্যাপারে তিনি বলেন, কিছু নেতাকর্মীদের মধ্যে নাম বাদ পড়া নিয়ে আক্ষেপ করতে দেখেছি। তবে বিএনপি একটি বড় দল। এখানে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা আছে। সবাইকেতো আর খুশি করা সম্ভব না।
নতুন কমিটিতে যারা এসেছেন:
ফরিদপুর জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা, যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার ফজলুল হক টুলু, যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রশিদ বাচ্চু, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ নান্নু, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলা, যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম রাব্বানী ভূঁইয়া রতন, যুগ্ম আহ্বায়ক আজম খান, যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর চৌধুরী রুবেল ও সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন, সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলাম ও সদস্য রশিদুল ইসলাম লিটন, শহীদ পারভেজ, সদস্য মোস্তাক হোসেন বাবুল, জাফর হোসেন বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট গুলজার মৃধা, ইঞ্জিনিয়ার খায়রুল আলম, জসিম উদ্দিন মৃধা, মো. আব্দুল লতিফ মিয়া, মো. জাহাঙ্গীর আলম, আমিনুল ইসলাম মুসা, নুরুজ্জামান চৌধুরী পংকজ, প্রিন্সিপাল সেলিম মিয়া, মো. সেলিম মিয়া, মো. শামীম হোসেন, মো. মুরাদ হোসেন, ইকবাল খান, অ্যাডভোকটে মামুনুর রশিদ, নাজরীন রহমান, অ্যাডভোকেট হান্নান মিয়া।
ফরিদপুর মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক এ এফ এম কাইয়ুম জঙ্গী, যুগ্ম আহ্বায়ক এ বি সিদ্দিক মিতুল, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তৈয়ব আক্তার টুটুল, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মৃনাল (কমিশনার), যুগ্ম আহ্বায়ক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম আহ্বায়ক সরফরাজ করিম, যুগ্ম আহ্বায়ক শামসুল আরেফীন সাগর (কমিশনার), যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শামসুর রহমান কুটু, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান অপু, যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন মিলার (কমিশনার), যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর ভূঁইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. এমদাদুল হক এমদাদ, সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, মোস্তফা মাহমুদ পরাগ, সদস্য কাইয়ুম মিয়া, মো. কামরুল ইসলাম মিল্টন, রাজন খান, রেজাউল ইসলাম, সাজ্জাদ শাওন, ইঞ্জি: মিজানুর রহমান মিজান, ইঞ্জি: মজিবর রহমান ঝন্টু, ফরহাদ হোসেন, শিশির কুমার রায়, অ্যাডভোকেট জুনায়েদ আকবর, আতিকুল ইসলাম আতিক, সোহরাব মিয়া, লিপু শেখ, ইসমাইল হোসেন লাভলু, জাহিদ হোসেন জাহিদ, এ কে আজাদ, নিতাই রায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২২
এসআরএস