নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ শহরে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে নিহত শাওন যুবদলের নয় যুবলীগ কর্মী দাবি করে বিক্ষোভ করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ফতুল্লার নবীনগর এলাকায় নিহতের বাড়ির সামনে এ বিক্ষোভ দেখায় তারা।
ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক জাহাঙ্গীর মাস্টারের নেতৃত্বে বিক্ষোভে অংশ নেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাক ট্যাংকলরি কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা আলীম শেখ, বক্তাবলী ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ফকির চাঁন বেপারী, এনায়েতনগর ইউপির ৩নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল জলিল, আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান শেখ, শাহজাহান, নিহত শাওনের মামা মীর হোসেন, শহিদ মোদিসহ শতাধিক নেতাকর্মী।
জাহাঙ্গীর মাস্টার জানান, শাওন আমাদের এলাকার ছেলে এবং ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলীর ভাতিজা। তারা চার ভাইয়ের মধ্যে বড়জনের অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে। আর তিন ভাই তাদের চাচা শওকত আলীর সঙ্গেই থাকেন এবং শাওন যুবলীগের রাজনীতি করেন। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
নিহত শাওনের মা ফরিদা বেগম জানান, আমার স্বামী সাহেব আলীর মৃত্যুর পর বড় ছেলেও অসুস্থ হয়ে মারা যায়। এরপর তিন ছেলে কাজ করে সংসার চালায়। এছাড়া শাওন তার চাচা শওকত আলীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করত। চাচার কথার বাইরে এক পা-ও হাটেনা। বাড়ির কাছে শহিদুল্লাহর ওয়ার্কশপে কাজ করত সে। আজ সকালে কাজে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয় শাওন।
ওয়ার্কশপ মালিক শহিদুল্লাহর জানান, শাওন আমার এখানে কাজ করত। তবে কোনো রাজনীতির সঙ্গে সে জড়িত ছিল না।
জানা গেছে, বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। এতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২২
এমআরপি/এসএ