ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আমাদের জীবন-মরণ লড়াই করতে হবে: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২
আমাদের জীবন-মরণ লড়াই করতে হবে: ফখরুল

ঢাকা: জীবন-মরণ লড়াইয়ের ডাক দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমি বলতে চাই হয় জীবন না হয় মরণ।

শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, এবার আমাদের জীবন-মরণ লড়াই করতে হবে। এবার সেই কথায় বলতে চাই, হয় জীবন না হয় মরণ। আসুন আমরা সেই লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে একটা দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলি। । দেশনেত্রীকে মুক্ত করব, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনব, এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমারা আজকের এই ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অত্যন্ত সংকটময় মুহূর্তে পালন করছি। আমাদেরকে প্রতিটি পদক্ষেপ অত্যন্ত সর্তকতার সঙ্গে নিতে হবে যেন তারা কোনো সুযোগ না পায় আমাদেরকে তারা ভেঙে দিতে, গুড়িয়ে দিতে।

পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান রেখে তিনি বলেন, আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমরা পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে নই, আমরা কোনো বাহিনীর বিরুদ্ধে নই। আমাদের ট্যাক্সের পয়সায় তাদের বেতন হয়, তাদের সংসার চলে, তাদের ছেলে-মেয়েরা লেখা-পড়া শিখে, তাদের বউ-বাচ্চাদের কাপড় দেয়-তাই না। তারা আমাদের লোকজনকে গুলি করে মেরে ফেলবে এটা কী আমরা মেনে নেবো?

তিনি আরও বলেন, আমরা বলতে চাই- আপনাদেরকে আমরা কখনো প্রতিপক্ষ বানাতে চাই না। আপনারা দয়া করে জনগণের প্রতিপক্ষ হবেন না। আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু সাহেব বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র একটা প্রতিষ্ঠান র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আপনারা কি চান পুলিশের ওপর এভাবে স্যাংশন আসুক, আপনারা কি চান এই বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের ওপর স্যাংশন জারি করুক। নিশ্চয় আমরা এটা চাই না। আমরা সবাই আশা করব পুলিশ জনগণের যে ন্যায্য অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার সেজন্য তারা সহযোগিতা করবে এবং যারা অন্যায় করছে, অবিচার করছে, যারা গুলি করে হত্যা করছে, যারা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর মতো জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে তাদের বিরুদ্ধে জনগণ জেগে উঠেছে, লড়াই শুরু করেছে সেই লড়াইয়ে তারাও শরিক হবেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, অনেক চরাই উতরাই পার হতে হয়েছে। বার বার আঘাত এসেছে বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য। বারবার বিএনপিকে শেষ করে দেওয়ার কাজ হয়েছে। কিন্তু বিএনপিকে দমিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। বিএনপি প্রতিবারই ধ্বংস স্তূপের মধ্যে ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে এবং এদেশের মানুষকে সামনে নিয়ে আবারো তারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে গেছে।

তিনি বলেন, ১/১১। ওরা ভেবেছিলো বিএনপিকে শেষ করে দেওয়া যাবে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারুণ্যের প্রতীক, আমাদের আশা-ভরসার স্থল তারেক রহমানকে নির্বাসিত করে তাকে মিথ্যা সাজা দিয়ে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়ে, আমাদের অসংখ্য নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে, গুম-খুন করে ভেবেছিলো বিএনপিকে ধ্বংস করে দেয়া যাবে। কিন্তু এই ১৫ বছরেও বিএনপিকে ধ্বংস করা যায়নি।

মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভার প্রারম্ভে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ওপর জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজনে ‘হরিলুটের রাজা’ শীর্ষক পথ নাটক মঞ্চস্থ হয়।

বিএনপি মহাসচিবের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শামসুজ্জামান ‍দুদু, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুব দলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন ও কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২২
এমএইচ/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।