ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি না এলেও নির্বাচন থেমে থাকবে না: কামরুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২
বিএনপি না এলেও নির্বাচন থেমে থাকবে না: কামরুল

নারায়ণগঞ্জ: সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য কামরুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও সুন্দর একটা নির্বাচন উপহার দেবে। বিএনপি এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে।

তারা না এলে নির্বাচন কিন্তু থেমে থাকবে না। তারা ২০১৪ সালে নির্বাচনে আসেনি, নির্বাচন হয়েছে। ২০১৮ সালে তারা নির্বাচনের নামে তামাশা করেছেন। এবারও যদি তারা সে পথে হাটেন তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সোনারগাঁ থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

কামরুল ইসলাম বলেন, যারা নির্বাচনকে বানচালের জন্য ষড়যন্ত্র করছে তাদের মোকাবিলা করতে একটা সুন্দর কমিটি চাই। পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনার জন্য শক্তিশালী কমিটি চাই।  

তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র চলছে আজকে। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে শক্তির বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৩ বছর লড়াই করেছিলেন সেই একই শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হচ্ছে। এরা পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, ২০০৪ সালে শেখ হাসিনকে হত্যার চেষ্টা করেছে। আজ তারা নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করছে। তারা জানে নির্বাচনের মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের সমালোচনা করে কামরুল ইসলাম বলেন, কিছুক্ষণ আগে ঢাকায় ফখরুল সাহেব বলেছেন আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস করছে। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস করে না। বিএনপি আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসীদের দল।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনও ষড়যন্ত্র করে না। তারা ষড়যন্ত্র করছে। তারা তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবস পালন করছে। তারেক রহমান এদিনে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছিলেন। ঐক্যের বিকল্প নেই। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আর কখনও স্বাধীনতাবিরোধীদের দেখতে চাই না। বাংলাদেশে এমন একটা সংসদ হবে যেখানে সরকারি দলেও থাকবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, বিরোধী দলেও থাকবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নবিউল্লাহ হিরু, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃণাল ক্রান্তি দাস, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কায়সার হাসনাত, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত শহিদ মো. বাদল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনিসুর রহমান দিপু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২২
এমআরপি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।