ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

পার্বতীনগর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ১০ ইউপি সদস্যের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২
পার্বতীনগর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ১০ ইউপি সদস্যের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমানের অনাস্থা ১০ ইউপি সদস্যের

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছে পরিষদের ১০ জন সদস্য।  

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মাইন উদ্দিন ময়ুরের স্বাক্ষরিত অনাস্থাপত্রটি জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে জমা দেওয়া হয়।

 

এতে ১২ জন সদস্যদের মধ্যে ১০ জন সদস্য চেয়ারম্যানের নামে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনেন। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের চেয়ারম্যানের নামে অনিয়মের অভিযোগপত্র জমা দেন তারা।  

তবে চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান বলছেন, ইউপি সদস্যদের সঙ্গে তার কোনো বিরোধ বা মনোমালিন্য নেই। ইউপি সচিব মিজানুর রহমান পরিষদের সদস্যদের ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে অনাস্থাপত্র দিয়েছেন। যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলোর ভিত্তি নেই।  

অনাস্থাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান বিগত সময়ে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালীন বিভিন্ন অনিয়ম করেছেন। বিগত ৩১ জানুয়ারি তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নানা দুর্নীতি, অনিয়ম, অসদাচরণ করে আসছেন।

দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পরিষদে কোনো সভা করেননি। ইতোমধ্যে এলজিএসপি-৩, পরিষদের উন্নয়ন সহায়তা, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার, রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর, কাবিখা, কাবিটা) অতিদরিদ্র কর্মসংস্থান কর্মসূচি ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বরাদ্দসহ বিভিন্ন বরাদ্দে ইউপি সদস্যদের অন্তভুক্ত না করে এবং কোনো সভা না করে প্রকল্পে মেম্বারদের নাম ব্যবহার করে ভুয়া স্বাক্ষরের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন।  

২০২১-২২ অর্থ বছরের অতিদরিদ্র কর্মসংস্থান কর্মসূচির ৮২ জন শ্রমিকের অনুকূলে ২৬ লাখ ২৪ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। চেয়ারম্যান প্রকৃত শ্রমিকদের নামে বিকাশ অ্যাকাউন্ট না খুলে নামে-বেনামে অ্যাকাউন্ট খুলে সে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। একই অর্থ বছরের টিআর, কবিখা, কাবিটা বরাদ্দের দুই কিস্তির ১০ লাখ টাকা নামমাত্র প্রকল্পে ব্যয় দেখিয়েছেন। কোনো ধরনের সভা ছাড়াই চেয়ারম্যান অবৈধ সুবিধা নিতে এডিপি খাতের ১০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রকল্প তালিকা দাখিল করেন। এছাড়া হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স বাবদ আদায়কৃত দুই লাখ টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করেছেন। পরিষদের নিয়মিত সভা না হওয়ায় ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন খাতের প্রায় সাড়ে আট লাখ টাকা ফেরত চলে গেছে।  

সদস্যদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান কাছে নিয়মিত কমিটির সভা, যাবতীয় আয়-ব্যয়ের বরাদ্দের হিসাব জানতে চাইলে তিনি সদস্যদের সঙ্গে অসাদাচরণ করেন।  

ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এগুলো সব ইউপি সচিব মিজানুর রহমানের চক্রান্ত। পরিষদকে তিনি নিজের মতো করে চালাতে চাচ্ছেন। জন্ম নিবন্ধনের নামে ইউনিয়নের সদস্যদের কাছ থেকে তিনি অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন। এগুলোতে আমি বাঁধা হয়ে দাঁড়ানোর কারণে মিজানুর রহমান ইউপি সদস্যদের অবৈধ সুবিধা দিয়ে তাদের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অনাস্থাপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এরই মধ্যে আমি সচিবের অনিয়মের বিষয়ে প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।