সিলেট: অবশেষে দীর্ঘ দুই দশক পর হলো সিলেট মহানগর যুবদলের কমিটি। নতুন এই কমিটির নেতৃত্বে এলেন তারেক ও সম্রাট।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মহানগর যুবদলের প্রত্যাশিত সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় নগরের দরগাহ গেইট সংলগ্ন কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সম্মেলন কক্ষে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন যুবদলের সভাপতি কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না। এছাড়া সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে নতুন নেতৃত্ব পায় মহানগর যুবদল। সভাপতি পদে নেওয়াজ বখত চৌধুরী তারেক ও সাধারণ সম্পাদক পদে মির্জা সম্রাট নির্বাচিত হন।
কাউন্সিলের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন আসুক সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কাউন্সিলে মহানগর যুবদলের সভাপতি পদে বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব শাহনেওয়াজ বখত তারেক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তোফাজ্জল হোসেন বেলাল প্রার্থী হন।
সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক সাবেক ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক স্বপন, মীর্জা সম্রাট ও উমেদুর রহমান উমেদ প্রার্থী হয়েছিলেন।
দলীয় সূত্র জানায়, রোববার সম্মেলনের মাধ্যমে প্রায় দুই দশকের অপেক্ষার অবসান হল মহানগর যুবদলের।
২০০২ সালের পর যুবদলের কোনো সম্মেলন হয়নি। যে কমিটি ছিল, সেটিও বিলুপ্ত করা হয়। তৎকালীন শহর যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ছিলেন এমদাদ হোসেন টিপু। তিনি ১/১১’র সময় যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। তখন থেকেই স্পন্দনহীন ছিল মহানগর যুবদল। কেবল আহ্বায়ক কমিটিতে ভর করে চলছিল এতোদিন। তৎকালীন যুবদলের অনেক নেতারা এখন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। অনেকে দেশ ছেড়েছেন।
অবশেষে প্রায় দুই দশক পর প্রত্যাশিত নতুন কমিটি পেলো সিলেট মহানগর যুবদল। রোববার সম্মেলনের মাধ্যমে সেই অপেক্ষার অবসান হলো। কাউন্সিলে মহানগর যুবদলের সভাপতি পদে বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব শাহনেওয়াজ বখত তারেক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তোফাজ্জল হোসেন বেলাল প্রার্থী হন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক সাবেক ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক স্বপন, মীর্জা সম্রাট ও উমেদুর রহমান উমেদ প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে সভাপতি পদে শাহ নেওয়াজ বখত তারেক ও সাধারণ সম্পাদক মীর্জা সম্রাটকে বেছে নেন কাউন্সিলররা।
এর আগে, শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) জেলা যুবদলের সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় নগরের ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে। দীর্ঘ ৩ বছর পর কাউন্সিলের মাধ্যমে জেলার মুমিন-মকসুদ ও মহানগরের তারেক সম্রাটের হাতে উঠে নেতৃত্ব। কাউন্সিলে প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মকসুদ আহমদ পদে নির্বাচিত হয়েছেন। রাতে ভোট গণনা ফলাফল ঘোষণা করেন কাউন্সিলের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন আসুক।
ফলাফলে জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়কের দায়িত্বে থা্কা অ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিন সভাপতি পদে ৩১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ ১৩৩ ভোট পেয়েছেন। আরেক প্রার্থী জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহেদ আহমদ চমন পেয়েছেন ৫৯ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান কমিটির সদস্য সচিব মকসুদ আহমদ ২৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান নেছার ১৯৪ ও সাবেক সহ-সভাপতি লিটন আহমদ ২৭ ভোট পেয়েছেন।
ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বিশেষ অতিথির ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদী লুনা, ড. এনামুল হক, বিএনপির সহ-ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।
এছাড়াও প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, বিশেষ বক্তা ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ সভাপতি মামুন হাসান। এতে কেন্দ্রীয় বিএনপির ও যুবদলের শীর্ষ নেতারা দেন।
২০১৯ সালের ১ নভেম্বর জেলা ও মহানগর যুবদলে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। জেলায় ২৯ সদস্য বিশিষ্ট এবং মহানগরে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২
এনইউ/এএটি