ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সাজেদা চৌধুরী ছিলেন শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত সহকর্মী: কাদের 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২
সাজেদা চৌধুরী ছিলেন শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত সহকর্মী: কাদের  সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন ওবায়দুল কাদেরসহ অন্যরা। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মরদেহে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

শ্রদ্ধা জানানো শেষে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের রাজনীতির বড় অধ্যায়জুড়ে ছিলেন সাজেদা চৌধুরী।

প্রতিটি সংকটে দলের পাশে ছিলেন এবং তিনি ছিলেন শেখ হাসিনার অত্যন্ত বিশ্বস্ত সহকর্মী।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রয়াত এ নেতার মরদেহে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের নেতারা শ্রদ্ধা জানান।  

ওবায়দুল কাদের বলেন, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ছিলেন স্বাধিকার, স্বাধীনতার সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের অগ্রসৈনিক। স্বাধীনতা-পরবর্তী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশ পুনর্গঠন, রক্তাক্ত ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর প্রতিটি সংকটে তিনি দলের পাশে ছিলেন। তার শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।

এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মতিয়া চৌধুরী, মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আমির হোসেন আমুসহ আওয়ামী লীগ নেতারা শ্রদ্ধা জানান।  

আরও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১১টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।

প্রবীণ এ রাজনীতিকের মৃত্যুতে আওয়ামী লীগসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল শোকবার্তা প্রকাশ করেছে।

১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। ১৯৫৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১৯৬৯-১৯৭৫ সময়কালে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-১৯৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্ল গাইডের ন্যাশনাল কমিশনার এবং ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
  
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২
এনবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।