ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পুলিশ হচ্ছে আমাদের রাষ্ট্রীয় সংগঠন। আমরা কখনই পুলিশকে প্রতিপক্ষ মনে করি না।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার অবৈধভাবে টিকে থাকার জন্য সংবিধান লঙ্ঘন করে, মানবাধিকার লঙ্ঘনে যখন পুলিশকে ব্যবহার করে, তখন নিঃসন্দেহে সেই বিষয়গুলো জনগণের সামনে এসে দাঁড়ায়। আজকে আমেরিকা যে কারণে স্যাংশন দিয়েছে সেই র্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগটা হচ্ছে মানবাধিকার লঙ্ঘন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে আমি অবশ্যই একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের একজন দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে আমার দায়িত্ব এবং কর্তব্য যে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করে দেওয়া যে, আপনারা সরকারের অবৈধ নির্দেশে, বেআইনি নির্দেশে এমন কেনো কাজ করবেন না যাতে আপনাদের ওপরেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আসে।
আপনারা ভালো করে লক্ষ্য করে দেখবেন, সব জায়গায় এই ঘটনাগুলো ঘটছে না বা সব পুলিশই এই ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে না। কয়েকটা জায়গায় অতি উৎসাহী কিছু অফিসার এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমি যেটা জানতে চেয়েছিলাম, নারায়নগঞ্জে চাইনিজ রাইফেল দিয়ে গুলি হলো সেটা কিভাবে হলো, কোন কর্তৃত্ব থেকে সে (গোয়েন্দা পুলিশ) এটা ব্যবহার করতে পারলো। সেই উত্তর কিন্তু এখনো বাংলাদেশের মানুষ পায়নি।
সোমবার জেনেভায় অনুষ্ঠিত মানবাধিকার কমিশনের সম্মেলনে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি বড় করে উঠে এসেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্যে তারা এখানে একটা নিরপেক্ষ স্বাধীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সহায়তা করতে সরকারকে বলেছে, আমাদেরকে সুযোগ দাও, আমরা এটা করতে চাই। অর্থাৎ এখানে যে মানবাধিকার লঙ্ঘেন হচ্ছে তা যেন বন্ধ করা যায়।
এ প্রসঙ্গে অত্যন্ত পরিষ্কার করে তারা বলেছে, মানুষের কথা বলার যে অধিকার, তার মত প্রকাশের যে অধিকার তাকেও এখানে আপহোল্ড করতে হবে। একই সঙ্গে বলেছে, নির্বাচনের পূর্বে কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকে যেন শুধু তার মতের জন্য হয়রানি না করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২
এমএইচ