ঢাকা: যেকোনো অপশক্তি রুখে দিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, যেকোনো অপশক্তি রুখে দিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের অন্তর্গত ওয়ারী থানা এবং ৩৮, ৩৯ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহানগর নাট্যমঞ্চে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট বাংলাদেশের মাটিতে আগুন সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের সৃষ্টি করেছে। কিন্তু শেখ হাসিনা এসব কখনোই প্রশ্রয় দেয়নি। কিন্তু এ অপশক্তি এখনও ঘাপটি মেরে বসে আছে। তাই যেকোনো অপশক্তি রুখে দিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকতে হবে। আমরা এখন গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় পার করছি। বাংলাদেশের বুকে কিছু অপশক্তি ঘাপটি মেরে বসে আছে, দেশকে অস্থিতিশীল করতে। আমাদের এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এ অপশক্তিই গ্রেনেড হামলা করে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। তারা আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দিতে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিলো। এখন তারাই আবার গণতন্ত্রের কথা বলে বেড়ায়।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন একটি রোডম্যাপ দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সবাইকে নির্বাচনে আসতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী দেশে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। কোন হাকডাক দিয়ে লাভ হবে না। তারা (বিএনপি) পল্টনে বসে হুঙ্কার দেয়, তাদের এ হুঙ্কার ‘গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেলের’ মত। তাদের হুঙ্কারে জনগণ ভয় পাবে না। এ বাংলার জনগণ তাদের জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতির কথা ভুলে নাই। আবার কোনো দেশবিরোধী কাজ করতে আসলে জনগণই তাদের ঠেকাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম যেখানে ষড়যন্ত্র সেখানেই প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আগামী নির্বাচনে বিজয়ের টার্গেট নিতে হলে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। সারা দেশে আমাদের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের খুঁটি মজবুত করতে হবে। ৭৫ এ আমাদের ব্যর্থতার জন্য খুনিরা সফল হয়েছিল। কিন্তু খুনি চক্রকে আর কোন সুযোগ দেওয়া হবে না। যেখানে ওরা ষড়যন্ত্র করবে সেখানেই প্রতিহত করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে কে কার প্রার্থী সেটা কোনো বিবেচ্য বিষয় নয়। দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাকে মনোনয়ন দিবেন সেটিই হচ্ছে বিষয়। কোন নেতাকে আমার পছন্দ, কে আমার পছন্দের বাইরে, সে সব বিষয় দেখলে হবে না। আমাদের দেখতে হবে দল কাকে মনোনয়ন দিয়েছে দল কাকে নৌকা দিয়েছে তাকে আমাদের বিজয়ী করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে সংগঠন মজবুত থাকে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে যতগুলো কমিটি হবে প্রত্যেকটা কমিটিতে যোগ্য নেতাকে পদে রাখতে হবে। যোগ্য নেতারা পদে থাকলে জাতীয় নির্বাচনে কেউ কোনো ষড়যন্ত্র করতে পারবে না। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে।
ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশিকুর রহমান লাভলুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হাজী আবুল হোসেনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি প্রমুখ। বিকেলে এ সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন আবু আহমেদ মন্নাফি ৷ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয় সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয় ৷
বাংলাদেশ সময়: ২২৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২
এসকে/এনএইচআর