পিরোজপুর: গ্রেফতার এড়াতে গা ঢাকা দিয়েছেন নাজিরপুরের বিএনপি নেতা-কর্মীরা। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের তিন শতাধিক নেতা-কর্মীর নামে মামলা দায়ের হওয়ার পর তাদের আর এলাকায় দেখা যাচ্ছে না।
জানা গেছে, গত ৮ সেপ্টেম্বর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি উপলক্ষে জেলার নাজিরপুর উপজেলা বিএনপি এক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। ওই সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় দলের ৬০ নেতা-কর্মী আহত হন। এ সময় ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা বিএনপি অফিস ভাংচুর করে। আবার বিএনপির বিরুদ্ধেও আওয়ামী লীগের তৈরি তোরণ ও ফেস্টুন ভাংচুরের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ছিদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে বিএনপির একশ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আরও দেড় থেকে দুইশ’ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান খান বলেন, পুলিশ আমাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আমার বৃদ্ধ অসুস্থ পিতা (পুলিশের সাবেক সদস্য) ও মায়ের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছে। এ সময় পুলিশের তাণ্ডবে আমার তিন বছরের শিশুপুত্র ভয়ে চিৎকার করতে থাকে। পুলিশ আ. লীগ কর্মীদের সাথে নিয়ে অভিযান চালাচ্ছে।
পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, ওই দিনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশ নিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসার সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে। এমনকি সমাবেশ শেষে বাড়ি ফেরার সময়ও তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। এ সময় হামলাকারীরা বিএনপির দলীয় অফিস ভাংচুর করে প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি করে। এ ঘটনায় উল্টো বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশি তল্লাশির নামে বড়িতে থাকা অন্যদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করা হচ্ছে।
এ ব্যপারে নাজিরপুর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন বলেন, অভিযুক্তদের ধরতে পলিশের অভিযান চলছে। তবে নিরীহ কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। পুলিশের অভিযানে আওয়ামী লীগের কাউকে সঙ্গে নেওয়া বা বিএনপির কোন নেতা-কর্মীতের বাড়িতে গিয়ে অশোভন আচরণের অভিযোগ মোটেই সত্য নয়। এমন অভিযোগের সত্যতা মিললে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২
নিউজ ডেস্ক