খুলনা: নির্বাচন কমিশন ঘোষিত আগামী সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রত্যাখ্যান করে খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেছেন, ভোট হতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। এর আগে এই অবৈধ ফ্যাসিবাদী নিশিরাতের সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।
‘রাজধানীর পল্লবীসহ দেশব্যাপী চলমান কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিবর্ষণ, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলা এবং সাবেক মন্ত্রী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবোদে’ রোববার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে খুলনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। নগরীর কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে কর্মসূচি পালিত হয়।
সমাবেশে তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের রক্তে সারা দেশ রঞ্জিত। প্রয়োজনে আরও রক্ত দিয়ে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা হবে।
অন্য বক্তারা বলেন, এই সরকার চরমভাবে ব্যর্থ, অযোগ্য ও লুটেরা। পদে পদে তাদের ব্যর্থতা ও তাবেদারি প্রমাণিত। জনগন তাদের সঙ্গে নেই। এরা টিকে আছে বিদেশী প্রভু ও দেশীয় অস্ত্রবাজ বাহিনীর ছত্রছায়ায়। জ্বালানি তেল, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানাতে বিএনপির কর্মসূচিতে গুলি করে তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে। আহত অসংখ্য। উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক শিষ্ঠাচারকে ধ্বংস করে বরকত উল্লাহ বুলু ও তার স্ত্রীর ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। বনানীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মতো নীরিহ কর্মসূচিতে পৈশাচিক হামলা হয়েছে।
বক্তারা বলেন, চূড়ান্ত লড়াইয়ের মাধ্যমে বন্দি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। দল ও দেশের নেতৃত্বের জন্য তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। ফ্যাসিবাদের পতন ঘটাতে হবে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, মো. তারিকুল ইসলাম জহীর, আবু হোসেন বাবু, শেখ তৈয়েবুর রহমান, শামীম কবির, মাহবুব হাসান পিয়ারু, একরামুল হক হেলাল, মুজিবর রহমান, অ্যাডভোকেট কানিজ ফাতেমা আমিন, আতাউর রহমান রনু, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২
এমআরএম/এসএ