ঢাকা: সরকার দেশে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করতে চায় বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের পর গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল বৈঠক সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত আটটায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
মির্জা ফখরুল বলেন, দলীয় সভায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর জ্বালানি তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বাড়ায় প্রতিবাদ ও ভোলা এবং নারায়ণগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুর রহিম, ছাত্রদলের নুরে আলম ও যুবদলের শাওন হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তরের শান্তিপূর্ণ মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচিতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলায় জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সেলিমা রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তরে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদসহ প্রায় ৫০ জন আহত হওয়ায় গভীর নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
সভায় একই দিনে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থেকে ঢাকা আসার পথে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলু ও তার স্ত্রীকে মনোহরগঞ্জে একটি রেস্টুরেন্টে যাত্রা বিরতির সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা এবং মারাত্মকভাবে জখম করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানানো হয়। বরকত উল্লাহ বুলু এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এর আগেও জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের কেরানীগঞ্জের বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আক্রমণ ও সারা দেশে বিভিন্ন জেলা, উপজেলায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা, পুলিশের গুলিবর্ষণ প্রমাণ করে, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস সৃষ্টি করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করতে চায়। হত্যার উদ্দেশ্যে বিএনপি’র নেতা, পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা, বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ, একই সঙ্গে সংবিধান সম্মত শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে হামলায় আবারও প্রমাণিত হচ্ছে যে, আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের অবৈধ সরকার, গুম, খুন, মিথ্যা মামলা, হামলা করে ত্রাস সৃষ্টি করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আর একটি প্রহসনের এক দলীয় নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিরোধী দল বিহীন একটি সাজানো নির্বাচন অনুষ্ঠান করে ক্ষমতায় থাকাই তাদের মূল লক্ষ্য।
তিনি বলেন, সভায় এসব হামলা, মিথ্যা মামলা, দমনমূলক আচরণ অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়। অবিলম্বে এসব হামলার সঙ্গে জড়িত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানানো হয়। বিরোধী দলের গ্রেফতার সব নেতাকর্মীকে মুক্তি ও আনীত সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় জনগণের প্রতিরোধের মাধ্যমেই অবৈধ সরকারকে বিদায় নিতে হবে বলে দলীয় নেতারা অভিমত ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
এমএইচ/আরআইএস