ঢাকা: সরকারের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, গত ১৫ বছর অনেক চেষ্টা করেও বিএনপিকে দমাতে বা দুর্বল করতে পারেননি। দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যাদের নামে মামলা নেই।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সায়েদাবাদ ব্রিজের ঢালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
চাল, ডাল, জ্বালানি তেল ও পরিবহন ভাড়াসহ সব প্রকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভোলায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নূরে আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা আব্দুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জের যুবদল নেতা শাওন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ৭ নম্বর জোন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম, নাজিমউদ্দিন আলম, গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক মিলন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের পেটুয়া বাহিনীকে বলতে চাই, আপনাদের চিহ্নিত করে রাখছি। বেশি দিন সময় নেই, জনগণের সামনে আপনাদের বিচার হবেই।
পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা, অনেক হয়েছে আর নয়। আর একজন নেতাকর্মীর ওপরও হামলা করবেন না। যারা বলে বিএনপিকে রাজপথে খুঁজে পাওয়া যায় না, তারাই ভয় পেয়ে আপনাদের বিএনপির বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে। তারা নিজেরাই পালানোর জায়গা পাবে না। সুতারাং সাবধান হোন।
মোশাররফ বলেন, এদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম এত বেশি, যা পৃথিবীতে নজিরবিহীন। নিজেদের দুনীতির কারণে এসব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সরকারের নেই।
তিনি বলেন, জনগণের ন্যায্য দাবি, দুবেলা দুমুঠো খাবারের দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছি। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ৭৫-এ বাকশাল কায়েম করেছিল, আজকে শেখ হাসিনার সরকারও বাকশাল কায়েম করতে চায়। তাই জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে সবাই মিলে রাজপথে নামলেই এ সরকারের পতন অনিবার্য।
মঈন খান বলেন, এ দেশের মানুষ খুব বেশি কিছু চায় না। তারা ৫ বছরের মাথায় কেন্দ্রে গিয়ে নিজের হাতে ব্যালট বাক্সে নিজেদের ভোট দিতে চায়। কিন্তু সরকার আগের রাতে ভোটবাক্স ভর্তি করে ভুয়া সংসদ গঠন করেছে। তাই এবার তাদের প্রতিগত করতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমেই একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। অন্যায়, দুশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে আমরা এক হয়েছি। এ সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার প্রতিষ্ঠা করে আমরা ঘরে ফিরে যাব।
দুপুর ২টার কিছু সময় পর থেকেই সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ীসহ আশপাশের এলাকা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন, লাঠি ও স্ট্যাম্পে জাতীয় পতাকা এবং দলীয় পতাকা টানিয়ে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বেড়ে যায়। এ সময় তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি ও সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। সমাবেশস্থলের আশপাশে পুলিশ ও র্যাবের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২
এমএইচ/আরবি