ঢাকা: মুন্সিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত যুবদল কর্মী শহিদুল ইসলাম শাওনের মৃত্যুর খবর শুনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছুটে আসেন বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, আমানউল্লাহ আমানসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। নিহতের স্বজনদের সমবেদনা জানান তারা।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিক্যালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান যুবদল কর্মী শাওন।
যুবদল কর্মীর নিহতের ঘটনায় শোক ও নিন্দা প্রকাশ করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উপস্থিত সাংবাদিকদের মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের যেখানেই বড় কোনো মিছিল-মিটিং হচ্ছে সেখাইনেই গুলি করা হচ্ছে। এটা অত্যাচারের শেষ সীমায় চলে গেছে। তারা বুঝে গেছে আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এজন্য মরণ কামড় দিচ্ছে। আমরা সাংঘাতিক মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে আছি!
তিনি বলেন, নেতাকর্মীদের সঙ্গে বসে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো। তবে রেগুলার কর্মসূচিগুলো প্রতিবাদী কর্মসূচি হিসেবে পালন করা হবে।
বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান বলেন, আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য তেল, গ্যাসের দাম কমানোর জন্য দাবি-দাওয়া নিয়ে কর্মসূচি দিয়েছিলাম। সেই কর্মসূচিতেই প্রথমে ভোলাতে ছাত্রনেতা নুর আলম, সেচ্ছাসেবক দলের নেতা আ. রহিম ও নারায়ণগঞ্জে একজনকে হত্যা করা হয়। বুধবার মুন্সিগঞ্জেও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ছিল। সেখানে তারা কীভাবে গুলি চালিয়েছে! এটি এই সরকারের দমন নীতি। তারা মনে করেছে গুলি চালিয়ে আন্দোলন বন্ধ করবে। তবে এটা কখনও সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, শহীদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে সরকারের হাত। আমাদের আন্দোলন চলছে। যতদিন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হয় ততদিন চলবেই।
শুক্রবার বাদ জুম্মা নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শাওনের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২
এজেডএস/এমজেএফ