ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

দেশ লুটপাটের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে: রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২২
দেশ লুটপাটের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে: রিজভী

ঢাকা: শেখ হাসিনা দেশকে লুটপাটের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এই অনাচার চলতে দেওয়া যায় না।

জাতীয়তাবাদী শক্তির নেতৃত্বে মহিলা দলের নেতাকর্মীদেরকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

সোমবার (৩ অক্টোবর) সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে একথা বলেন তিনি।

ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের কার্যকলাপ ও সারাদেশে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।

রিজভী বলেন, অনেকেই বলে এই আওয়ামী লীগ আর সেই আওয়ামী লীগ নেই। আওয়ামী লীগ কবে ভালো ছিল? ৭২-৭৫ সালে আমরা দেখেছি লাল বাহিনী, নীল বাহিনী, সবুজ বাহিনী। রক্ষী বাহিনীর কথাও আমরা জানি। এখন আমরা দেখছি নানা বাহিনী, ছাত্রলীগ বাহিনী, যুবলীগ বাহিনী, সঙ্গে পুলিশ-র‌্যাব তো আছেই।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও ইডেন কলেজে যা হচ্ছে তা ন্যাক্কারজনক। আসলে সরকার ছাত্রলীগকে কী বানাচ্ছে? তাদের তো খুনি বানাচ্ছে। এর আগে দর্জি বিশ্বজিতকে হত্যা করেছে। আজকে দেশে পড়ালেখা নেই। শেখ হাসিনা পড়ালেখা তুলে দিয়েছেন।

রিজভী বলেন, যারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে অবৈধভাবে কব্জা করেন। দিনে ভোট করার যারা সাহস পান না। রাতে ভোট করতে হয়। তারা তো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শান্তিপূর্ণভাবে চলুক তা চান না। দেশের মানুষ উচ্চ শিক্ষিত হোক তা চান না। ইডেন কলেজ ছেড়ে দিয়েছে ছাত্রলীগ তুমি যা ইচ্ছা করো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দিয়েছে ছাত্রলীগকে, তারা সেখানে হলগুলো নিয়ন্ত্রণ করে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের হাতে ছেড়ে দিয়েছে। সেখানে কোনো ভবন নির্মাণ কাজ হলে সেগুলো থেকে চাঁদা দাবি করে।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আমাদেরকে অনেকেই বলেন- বিএনপি ইডেনের বিষয়ে কী করছে? আমরা ইডেনে ছাত্রলীগের কুকর্মের প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাই। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকলেই খালি গণতন্ত্রের কথা বলে। বাংলাদেশ থেকে কেউ বড় বিজ্ঞানী হোক, বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে যাক, কেউ বড় অর্থনীতিবিদ হোক, পণ্ডিত হোক এটা তো শেখ হাসিনা চান না। এইবার সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে একজন খুনিকে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ও মহিলা দলের নেত্রী চৌধুরী নায়াবা ইউসুফ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২২
এমএইচ/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।