ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

যুদ্ধে সংকট গভীর হলে সব দেশের প্রধানমন্ত্রীই কি পদত্যাগ করবেন? 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২২
যুদ্ধে সংকট গভীর হলে সব দেশের প্রধানমন্ত্রীই কি পদত্যাগ করবেন?  ওবায়দুল কাদের

ঢাকা: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট সংকট বিশ্বব্যাপী গভীরতর হলে সব দেশের প্রধানমন্ত্রীই কি পদত্যাগ করবেন এমন প্রশ্ন করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ৷ 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দূরদর্শী বলেই সংকট মোকাবিলায় আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলেছেন ৷

শুক্রবার(১৪ অক্টোবর) ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভিত্তিহীন, আজগুবি ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ কথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট সংকট বিশ্বব্যাপী।

বিশ্বের সব দেশই এই সংকট মোকাবিলা করছে এবং আগামীতে এই সংকট গভীরতর হলে তা কীভাবে মোকাবিলা করবে তার দিশা খুঁজছে। বিএনপি মহাসচিবের কাছে প্রশ্ন- বিশ্বের সব দেশের প্রধানমন্ত্রীই কি তাহলে পদত্যাগ করবেন? বাংলাদেশ তো বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপ নয়। বিশ্বব্যাপী এ সংকট আমাদের সৃষ্ট না হলেও তার প্রভাব বাংলাদেশের ওপরও পড়েছে। আগামী বছর থেকে বিশ্বমন্দার আশঙ্কা করছে বিশ্বব্যাংক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দূরদর্শী বলেই আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলেছেন এবং বেশি বেশি খাদ্য উৎপাদনের কথা বলেছেন। কিন্তু অপরিণামদর্শী বিএনপি নেতারা বৈশ্বিক সংকটের বাস্তবতা অনুধাবন না করেই গলার জোরে কথা বলছেন এবং জনগণের কষ্টকে পুঁজি করে রাজনীতি করার অপচেষ্টা করছেন।

বিবৃতিতে কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, আন্দোলনে পতন হবে এই সরকারের। গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিএনপি মহাসচিব তাদের হতাশ নেতাকর্মীদের চাঙা করতে এমনটা বলে আসছেন। সরকার পতনের লক্ষ্যে তারা কখনো শিক্ষার্থীদের কোটা বিরোধী আন্দোলন, কখনো ভাস্কর্য বিরোধী আন্দোলন এবং কখনো শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ওপর ভর করেছেন। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই বিএনপি ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপি নেতারা সবসময় সরকারের পতন কামনা করেন। কিন্তু শকুনের দোয়ায় যেমন গরু মরে না তেমনি বিএনপির দোয়ায়ও সরকারের পতন হবে না।  

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, সরকারি ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো’ ঘোষণা করায় নাকি বড় সর্বনাশ হয়েছে। জনগণের বাকস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে নাকি পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব হয়তো জানেন না, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, কোরিয়া ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোসমূহ চিহ্নিত করা আছে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হচ্ছে সরকার কর্তৃক ঘোষিত এইরূপ কোনো বাহ্যিক বা ভার্চ্যুয়াল তথ্য পরিকাঠামো, যা কোনো তথ্য-উপাত্ত বা কোনো ইলেকট্রনিক তথ্য নিয়ন্ত্রণ, প্রক্রিয়াকরণ, সঞ্চরণ বা সংরক্ষণ করে এবং যা ক্ষতিগ্রস্ত বা সংকটাপন্ন হলে জননিরাপত্তা বা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বা জনস্বাস্থ্য এবং জাতীয় নিরাপত্তা বা রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। রাষ্ট্র ও জনগণের স্বার্থেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং উক্ত পরিকাঠামোসমূহের  নিরাপত্তা সামান্য বিঘ্নিত হলে তা রাষ্ট্র ও জনগণেরই ক্ষতির কারণ হবে। এর সঙ্গে জনগণের তথ্য প্রাপ্তি সংক্রান্ত অধিকার ব্যাঘাত হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২২
এসকে/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।