বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতার কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলকে নরপিশাচরা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল, এতো বছর মানবাধিকারের কথা কোথায় ছিল? তথাকথিত সুশীল এবং মানবাধিকার ব্যবসায়ীরা এতো বছর ধরে শিশু হত্যার বিচার চাওয়া দূরে থাকুক, তারা এর প্রতিবাদও কোনোদিন করেনি।
আজ আপনারা মানবাধিকারের কথা বলেন।
ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, শেখ রাসেল আজ বাঙালির সবচেয়ে বেদনাদায়ক ট্রাজেডির নাম। পৃথিবীর সবচেয়ে নির্মম শিশু হত্যার ঘটনা শেখ রাসেলের হত্যাকাণ্ড। পৃথিবীর সবচেয়ে ঘৃণ্যতম শিশু হত্যাকাণ্ডের ঘটনা শেখ রাসেলের হত্যা। এই নিয়ে মানবাধিকারের ধ্বজাধারীদের কোনো বক্তব্য কোনোদিন শোনা যায়নি। প্রকৃত অর্থে এরা পশুর চেয়েও অধম। মানুষ নামের কলঙ্ক।
আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বলেন, আজকে যারা বাংলাদেশকে আবার পূর্বের জায়গায় ফিরিয়ে নিতে চান অর্থাৎ বাংলাদেশের সকল অর্জনকে নস্যাৎ করতে চান, তাদের সেই স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। আমরা বেঁচে থাকতে তাদের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেবো বাংলার মাটিতে। ষড়যন্ত্রকারীদের কোন ঠাঁই নেই বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যে জায়গায় নিয়ে গেছেন, তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে। লন্ডন থেকে যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, শেখ হাসিনার সৈনিকেরা সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেবে। এটি আমাদের প্রতিজ্ঞা। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা। বাংলাদেশের অর্জনকে আমরা নস্যাৎ করতে দিতে পারি না।
জাতির পিতার কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে ড. সেলিম মাহমুদ এসব কথা বলেন। শেখ রাসেল দিবসের এই আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. আসাদুজ্জামান, প্রফেসর ড. আমিনুল ইসলাম আকন্দ প্রমুখ।
‘শেখ রাসেল দিবস-২০২২’ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বৃক্ষ রোপন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২২
নিউজ ডেস্ক