ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনে আইন অনুমোদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১২
নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনে আইন অনুমোদন

ঢাকা: টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনসংক্রান্ত আইনের খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এর অনুমোদন দেওয়া হয়।

একই সঙ্গে বাংলাদেশ-মিয়ানমার দ্বি-পক্ষীয় বিমান চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরের একটি প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

‘টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১২’-এর আওতায় কর্তৃপক্ষকে অন্য পক্ষের সঙ্গে চুক্তি সই এবং ঋণ নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের জানান, বর্তমানে দেশে যেসব জ্বালানি ব্যবহৃত হচ্ছে যেমন তেল, কয়লা ইত্যাদি পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। এর বিপরীতে পরিবেশবান্ধব টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সহজলভ্যকরণ, এর ব্যবহার বাড়ানো এবং এগুলোকে একটি আইনি কাঠামোতে নিয়ে আসার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এটি একটি অর্থ আইন। গঠন হতে যাওয়া এ কর্তৃপক্ষের নিজস্ব বাজেট প্রণয়ন, ঋণ গ্রহণ ও চুক্তি করার ক্ষমতা থাকবে। ’

‘টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’-এর একজন চেয়ারম্যান ও পাঁচজন সদস্য থাকবেন। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সংশ্লিষ্টদের এখানে রাখা হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো জানান, এ আইনের সাতটি ধারা রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ধারায় রয়েছে সংজ্ঞা, দ্বিতীয় ধারায় কর্তৃপক্ষ গঠন, তৃতীয় ধারায় পরিচালনা পর্ষদ কীভাবে গঠন হবে, চতুর্থ ধারায় কর্মকর্তা ও কর্মচারি নিয়োগ ও ক্ষমতা প্রদান, পঞ্চম ধারায় কর্তৃপক্ষের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ ও অডিট সম্পাদন, ষষ্ঠ ধারায় রয়েছে তহবিল প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা এবং সপ্তম ধারায় রয়েছে বিধি প্রণয়ন ক্ষমতা।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার দ্বি-পক্ষীয় বিমান চলাচল চুক্তি সই প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ‘এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি ১৯৭৭ সালে হয়েছিল। কিন্তু সেটি অনেক পুরোনো ও বর্তমানে অকার্যকর হয়ে পড়ায় নতুন করে চুক্তি করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। চুক্তিটির কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদ নেই। উভয় দেশ চাইলে এ চুক্তি সংশোধন কিংবা পূর্ব নোটিশ দিয়ে বাতিল করা যেতে পারে। ’

সচিব বলেন, চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স, জিএমজি এয়ারলাইন্স ও ইউনাইটেড এয়ার এবং মিয়ানমার এয়ারওয়েজ ইন্টারন্যাশনাল ও এয়ার বাগান কোম্পানি লিমিটেড দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিচালনা করতে পারবে। সপ্তাহে সাতটি যাত্রীবাহী বিমান ও চারটি মালবাহী কার্গো বিমান চলাচল করতে পারবে। বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে স্ব স্ব দেশের অভ্যন্তরীণ নিয়ম ও আন্তর্জাতিক বিধিমালা প্রযোজ্য হবে।

এছাড়া মন্ত্রিসভায় গত ১৭ থেকে ২৩ মে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ইউএনএসকাপ-এর ৬৮তম বার্ষিক অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণ এবং গত ১৭ থেকে ২০ এপ্রিল গ্যাবনের রাজধানী লিবরাভেলে অনুষ্ঠিত তথ্যমন্ত্রীদের নবম ইসলামিক সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময় : ১৩৩৫ ঘন্টা, ১৮  জুন, ২০১২
এসআর/সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।