সিলেট: কৈলাশটিলা গ্যাস কূপে আরও এক দশমিক ছয় টিসিএফ (ট্রিলিয়ন ঘনফুট) গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, আগামী চার মাসের মধ্যে খনন শেষ হলে এ গ্যাসের মজুদ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেটের গোলাপগঞ্জ অনুসন্ধান কূপ কৈলাশটিলা-৮ খনন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ উপস্থিত ছিলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, আগে তিন টিসিএফ মজুদ ছিল কৈলাশটিলা ফিল্ডে। অনুসন্ধান কূপ খনন করায় মজুদ আরও বাড়বে। দেশীয় ফিল্ড থেকে গ্যাস পেলে চার টাকায় পাওয়া যায়। একই পরিমাণ গ্যাস আমদানি করতে ৬০ টাকা খরচ হয়। মাত্র ২৩ শতাংশ গ্যাস আমদানি করতে না হলে অনেক সাশ্রয় হতো।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সিলেট গ্যাস ফিল্ড এগিয়ে গেছে। আরও প্রকল্প নিচ্ছে। আমরা চাই অন্যরাও এগিয়ে আসুক। আপনারা উদ্যোগ নেবেন আমরা সেই অপেক্ষায় বসে থাকি। মন্ত্রণালয় কোনো প্রকল্প গ্রহণ করে না। আমরা চাই প্রত্যেকে সক্ষমতা দেখাক। আমরা তাদের সক্ষমতার দিকটি দেখতে চাই। যারা ভালো করবে তাদের মূল্যায়ন করা হবে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, কৈলাশটিলায় আগে সাতটি কূপ খনন করা হয়েছে। প্রতিটা কূপেই গ্যাস পাওয়া গেছে। আরও তিন হাজার ৫০০ মিটার খনন করা হবে। এ থেকে এক টিসিএফের ওপরে গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি কৈলাশটিলা-৮ কূপের খনন কাজ শুরু হয়েছে। সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির এ কূপটি খনন করছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্স। ১২০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা। সবচেয়ে আশার কথা হচ্ছে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে বিদ্যমান পাইপলাইন ও আড়াই কিলোমিটার দূরত্বে ব্যবহারযোগ্য প্রসেস প্ল্যান্ট রয়েছে। ভোলা-জকিগঞ্জসহ অনেক এলাকায় গ্যাস উদ্বৃত্ত থাকলেও পাইপলাইন না থাকায় ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
এদিন সকালে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন, বঙ্গবন্ধু কর্নার ও প্রিপেইড মিটার প্রকল্পের ডাটা সেন্টার উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪
এনইউ/আরবি