ঢাকা: পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা আরও বিস্তৃত করতে চায় রাশিয়া। এর মধ্যে পারমাণবিক জ্বালানি চক্রসহ পারমাণবিক প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কিত সহযোগিতাও রয়েছে।
ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং পারমাণবিক শক্তি বিভাগের সচিব অজিত কুমার মহান্তির নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্প্রতি রাশিয়ার টমস অঞ্চলের সিবিরস্কে একটি পরীক্ষামূলক ডেমন্সট্রেশন এনার্জি কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছে।
এ সময় অজিত মহান্তি রাশিয়ার পরমাণু শক্তি করপোরেশন রসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভের সঙ্গে পরমাণুখাতে রুশ-ভারত সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
রসাটমের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রাশিয়ার এই ডেমন্সট্রেশন এনার্জি কমপ্লেক্সটি বিশ্বের প্রথম চতুর্থ প্রজন্মের এনার্জি কমপ্লেক্স। স্থাপনাটি রুশ সরকারের কৌশলগত শিল্প প্রকল্প ‘প্রারিভ’র অধীনে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
‘প্রারিভ’, যার অর্থ হলো যুগান্তকারী প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হলো পারমাণবিক শিল্পে নতুন ধরনের প্রযুক্তির প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, যাতে ‘ক্লোজড নিউক্লিয়ার ফুয়েল সাইকেল’ নিশ্চিত করার মাধ্যমে স্পেন্ট ফুয়েল এবং তেজস্ক্রিয় বর্জ্য সমস্যার সমাধান থাকবে।
এদিকে রুশ-ভারত সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে আলেক্সি লিখাচেভ জানান, পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা ভারতের সঙ্গে বিস্তৃত সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত। এর মধ্যে রয়েছে ভারতের নতুন একটি সাইটে রুশ ডিজাইনের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিটগুলোতে সিরিয়াল নির্মাণ, কম ক্ষমতাসম্পন্ন স্থলভিত্তিক এবং ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, পারমাণবিক জ্বালানি চক্রসহ নন-এনার্জি ক্ষেত্রে পারমাণবিক প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কিত সহযোগিতা।
আলেক্সি লিখাচেভ এবং অজিত মহান্তি বর্তমানে রাশিয়ার সহযোগিতায় ভারতে নির্মাণাধীন কুদানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করেন। এই প্রকল্পে লাইট ওয়াটার রিয়্যাক্টরভিত্তিক ছয়টি বিদ্যুৎ ইউনিট থাকছে, এর প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার মেগাওয়াট। ইউনিটগুলোর পুরো জীবন চক্রজুড়ে পারমাণবিক জ্বালানিও সরবরাহের দায়িত্ব নিয়েছে রসাটম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৪
এসকে/এএটি