ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২ ইউনিট বন্ধ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৪
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২ ইউনিট বন্ধ

নীলফামারী: দেশের একমাত্র দিনাজপুরের পার্বতীপুরে কয়লাভিত্তিক বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক দুই নম্বর ইউনিট ও ২৭৫ মেগাওয়াটের তৃতীয় ইউনিট বন্ধ রয়েছে।  তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুইটি ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উত্তরাঞ্চলের আট জেলা বিদ্যুৎহীন বা লো-ভোল্টেজের কবলে পড়েছে।

 

৩১ জুলাই থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিন নম্বর ইউনিটটির যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। কয়লাভিত্তিক ২৭৫ মেগাওয়াট তৃতীয় ইউনিট থেকে প্রতিদিন ১৭০-১৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হত।  

২০২০ সালের নভেম্বর থেকে তাপবিদুৎ কেন্দ্রের দুই নম্বর ইউনিটি সংস্কার করার জন্য ওভার হোলিংয়ের কাজ চলছে। কয়লাভিত্তিক ১২৫ মেগাওয়াট ২ নম্বর ইউনিট দিয়ে প্রতিদিন ৭০ মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। কেন্দ্রের দুই নম্বর ইউনিটি ওভার হোলিং এ কোটি কোটি টাকা ব্যয়। তবুও চালু রাখতে পারেনি কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ১২৫ মেগাওয়াট ১ নম্বর ইউনিট থেকে প্রতিদিন ৬৫-৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। এক নম্বর ইউনিটটি চালু রাখতে দৈনিক বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে ৭ থেকে ৮শ মেট্রিক টন কয়লা ব্যবহার হচ্ছে।  

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিট চালু রেখে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য দৈনিক প্রায় ৫ হাজার ২০০ টন কয়লার প্রয়োজন হয়। তিনটি ইউনিট একইসঙ্গে চালানো হয় না। কয়লার সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে দুটি ইউনিট চালু রেখে ২৫০ থেকে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে দৈনিক কয়লার প্রয়োজন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টন।

শনিবার (৩১ আগস্ট) পর্যন্ত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোল ইয়ার্ডে প্রায় দুই লাখ টন কয়লা মজুত আছে।  

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সহকারী প্রধান প্রকৌশলী মো. মহসিন কবির ফিরোজ জানান, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটটির কোল ডিভাইস নষ্ট হয়েছে। এজন্য উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর প্রথম সপ্তাহে ওই ইউনিটটি চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই ইউনিট থেকে প্রতিদিন ১৭০-১৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হত। ৩ নম্বর ইউনিটটি মেরামত করতে চীনা কোম্পানি থেকে মালামাল এনে মেরামত করতে হবে। বর্তমান ১ নম্বর ইউনিটটি চালু রাখা হয়েছে। এই ইউনিট থেকে মাত্র ৬০-৬৫ মেগাওয়াড বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে।  

এ ব্যাপারে বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, বর্তমান রাষ্ট্রের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তৃতীয় ইউনিটের মালামাল চীন থেকে আনতে সময় লাগছে। মালামাল আসা মাত্র ৩য় ইউনিটির মেরামত কাজ শুরু হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।