ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বিদ্যুতের বাড়তি দাম নিচ্ছে আদানি, চুক্তি বাতিলের দাবি

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪
বিদ্যুতের বাড়তি দাম নিচ্ছে আদানি, চুক্তি বাতিলের দাবি

ঢাকা: কয়লা ও ক্যাপাসিটি চার্জসহ বিভিন্ন কৌশলে বিদ্যুতের বাড়তি দাম নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ভারতের আদানি শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে।  

দেশের স্বার্থে ভারতের ঝাড়খন্ডের ১৬শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে করা চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

এজন্য সরকার নয়, নাগরিকদের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

বেশি দাম নেওয়ার জন্য সমালোচনার ঝড় উপেক্ষা করেই গত বছর আদানির বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করে আওয়ামী লীগ সরকার।

এবারের জুনে আদানি প্রতি ইউনিট বিদ্যুতে কয়লার দাম ধরেছে আট টাকা ২২ পয়সা। এ সময় পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লার খরচ ছয় টাকা ২২ পয়সা। আদানি গত অর্থবছর প্রতি ইউনিট বিদ্যুতে ক্যাপাসিটি চার্জ ও পরিচালন ব্যয় ধরেছে সাত টাকারও বেশি।  

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাড়তি খরচ দেখিয়ে ২৫ বছরে অতিরিক্ত এক লাখ কোটি টাকা আদায়ের সুযোগ রয়েছে আদানির।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ শামসুল আলম বলেন, চুক্তি করার কারণে যে অধিকার লাভ করেছে আদানি। এর ফলে আমাদের কাছ থেকে বিদ্যুতের ন্যায্য ও যৌক্তিক মূল্যের চেয়ে বেশি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে এবং এরই মধ্যে তারা নিয়েছেনও। সুতরাং ওই চুক্তি আর বহাল থাকতে পারে না। সরকার নিজেই এই চুক্তি করেছে, তাই সরকারের পক্ষে এটি নিয়ে মামলা করাও কঠিন। এটা জনগণের পক্ষ থেকে বা পাবলিক ইন্টারেস্ট থেকে আসতে পারে।

আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ, কম দামের কয়লা ব্যবহার করে বেশি দাম আদায়, শুল্ক সুবিধা পেয়েও তা প্রদর্শন না করা। এছাড়া তিন মাস আগে বিদ্যুতের নির্দিষ্ট চাহিদা জানানো, উৎপাদন সক্ষমতার কমপক্ষে ৩৪ শতাংশ বিদ্যুৎ কেনা, এক শতাংশের বেশি কয়লার অপচয়সহ ক্রয় চুক্তির বিভিন্ন দুর্বলতাও রয়েছে।

এ ব্যাপারে এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ বলেন, আমি মনে করি না, চুক্তি বাতিল কোনো সমাধান। চুক্তি রিভিউ করা যেতে পারে। উভয়পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে এতে সংশোধন আনা যেতে পারে। এতে চাপিয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ রয়েছে বলে আমি মনে করি না। অন্তর্বর্তী সরকার বিদ্যুৎ-জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ আইন স্থগিত করছে। ওই আইনের অধীনে আদানিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে করা চুক্তির কারিগরি ও আর্থিক দিক খতিয়ে দেখছে বিশেষ কমিটি।

বিদ্যুৎ-জ্বালানিখাতের পর্যালোচনা কমিটির আহ্বায়ক বিচারপতি (অব.) মঈনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এটা আইনানুযায়ী হয়েছে কি-না তা এক্সপার্টরা দেখবেন। এরপর কমিটি রিভিউ করবেন। তারপর আমরা এ ব্যাপারে রিকমেনডেশন দেবো।

আদানির কেন্দ্রের শুল্ক-করের অনিয়ম খতিয়ে দেখছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এদিকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় সম্প্রতি নিজ দেশে বিক্রির সুযোগ উন্মুক্ত করেছে ভারত সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯,২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।