ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

গ্যাসের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নেই: ক্যাব

সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১২
গ্যাসের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নেই: ক্যাব

ঢাকা: গ্যাস বিতরণকারী কোম্পানিগুলো মুনাফার অর্জনের কারণে তাদের কর্মচারীরা  গত বছর ৪ লাখ টাকা করেও ইনসেনটিভ পেয়েছেন। এ অবস্থায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর কোনো যৌক্তিক কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল ইসলাম।



বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) উন্মুক্ত সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

অধ্যাপক শামসুল ইসলাম বলেন, “গত বছর গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৪ লাখ টাকার ওপরে ইনসেনিটিভ পেয়েছেন। ”

তিনি এসময় প্রশ্ন করে জানতে চান, “তাদের আর কত ইনসেনটিভ দিতে হবে? আর তাদের ইনসেনটিভ বাড়াতে কেন ভোক্তাদের পকেট কাটা হবে?”

সরকারকে ৫৫ শতাংশ ভ্যাট-শুল্ক দিয়েও কোম্পানিগুলো মুনাফা অর্জন করে বলে দাবি করেন শামসুল ইসলাম।

তিনি জানান, এর আগে সিএনজির দাম বাড়ায় রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। চরম হয়রানির শিকার হয়েছেন জনগণ।

অপেশাদার লোকদের দিয়ে এ কাজ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

সিএনজি পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন নয়ন বলেন, “উৎপাদিত মোট গ্যাসের ৫ শতাংশ ব্যবহৃত হয় সিএনজি হিসেবে। বিতরণকারী কোম্পোনিগুলো শুধুমাত্র এ খাত থেকেই ২৫ শতাংশ হারে মুনাফা করছে। ”

তিনি বলেন, “গ্যাস কোম্পানির একজন জিএম কয়েকগুণ বেশি বেতন নিচ্ছেন সচিবের চেয়ে। ”


ইউনাইটেড সিএনজি স্টেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, “এভাবে কোম্পানির মুনাফা বাড়াতে দফায় দফায় দাম বাড়ানোর কোনো যুক্তি নেই। তার চেয়ে আমাদের বিনিয়োগ ফিরে দেওয়া হোক। সেটাই ভালো হয়। আমরা ব্যবসা বন্ধ করে দেই। ”

বাংলাদেশ নিটওয়ার ম্যানুফেকচার অ্যান্ড এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) পরিচালক মঞ্জুরুল হক বলেন, “আমরা বিনিয়োগ করে বসে আছি। গ্যাস সংযোগের অভাবে শিল্প চালু করতে পারছিনা। অন্যদিকে, ব্যাংকের দেনার সুদ দিতে হচ্ছে নিয়মিত। ”

দিনে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা গ্যাস পাওয়ার পরও সারাদিনের সমপরিমাণ মূল্য পরিশোধ করতে হচ্ছে বলে তিনি এ বিষয়ে বিইআরসির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

ক্যাবের উপদেষ্টা শামসুল আলম পেট্রোবাংলার প্রস্তাব আমলে নিলে গণশুনানি বর্জনের হুমকি দেন। এসময় বিইআরসি সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, “পেট্রোবাংলার প্রস্তাব আইনগতভাবে দেখতে খারাপ লাগে। পৃথক কোম্পানি থেকে প্রস্তাব আসা উচিত এ কথা সঠিক। ”

বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, “প্রস্তাব আমলে নেওয়া হচ্ছে। তারমানে এই নয় যে, গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে। গণশুনানিতে অংশ নিয়ে বিশদ আলোচনা করা যাবে। আর এরই মধ্যে কোম্পানিগুলো পৃথক প্রস্তাবনা দেবে। ”

এদিকে, ভোক্তাদের বিরোধিতা সত্ত্বেও পেট্রোবাংলার প্রস্তাব আমলে নিয়ে ১০ ডিসেম্বের গণশুনানি দিন নির্ধারণ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২২২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১২
ইএস/ সম্পাদনা: আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।