ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বিদ্যুৎ প্রকল্পে ঋণ দেবে সৌদি আরব, চুক্তি সই

সিনিয়র ইকোনমিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১২
বিদ্যুৎ প্রকল্পে ঋণ দেবে সৌদি আরব, চুক্তি সই

ঢাকা: বিদ্যুৎ খাতে বাংলাদেশকে ঋণ সহায়তা দেবে সৌদি সরকার। চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় প্রস্তাবিত ২২৫ মেগাওয়াট শিকলবাহা ডুয়েল ফুয়েল (গ্যাস ও তরল জ্বালানি) বিদ্যুৎ প্রকল্পে সৌদি আরব  ৪৩৭ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার (৫৩ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন ডলার) টাকা ঋণ দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকারকে।

সৌদি উন্নয়ন তহবিলের (এসএফডি) আওতায় এই ঋণ পাওয়া যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে এ ঋণ চুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক (ইআরডি) বিভাগের যুগ্ম সচিব নুরজাহান বেগম এবং সৌদি আবরের পক্ষে এসএফডির সৌদি রফতানি কর্মসূচির মহাপরিচালক আহম্মদ আল-গানাম চুক্তিতে সই করেন।

এসময় সৌদি দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জাদি নাইফ আল রাক্কাসসহ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চুক্তি স্বাক্ষরকালে উভয়পক্ষ আশা প্রকাশ করে বলেন, পারস্পরিক সহযোগী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে ভবিষ্যতে সহযোগিতা আরো দৃঢ় হবে।

এসময় আহম্মদ আল গানাম বলেন, “সৌদি বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে থাকতে চায়। ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরো বাড়বে। ”

চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “প্রস্তাবিত এই ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭০ মিলিয়ন ডলার (২৭ কোটি ডলার)। সৌদি আবর, কুয়েত, আবুধাবি ও ওপেক এই প্রকল্পে মোট ১৬৭ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তার মাধ্যমে বিনিয়োগ করবে। বাকি অর্থের ৭১ দশমিক ৪০ মিলিয়ন সরকার এবং ৩১ দশমিক ৬২ মিলিয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমন্টে বোর্ড (পিডিবি) যোগান দেবে। ”

ঋণের সুদের হার ধরা হয়েছে দেড় শতাংশ থেকে দুই শতাংশ ধরা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “কুয়েত ৬৩ মিলিয়ন (৫ কোটি ৩০ লাখ), আবুধাবি ৩১ মিলিয়ন (৩ কোটি ১০ লাখ ও ওপেক ৩০ মিলিয়ন (৩ কোটি) ডলার ঋণ দেবে। ইতোমধ্যে তাদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। আজ বাকি থাকা সৌদি আবরের সাথে চুক্তি হলো। ”

প্রকল্প পরিচালক বলেন, “আগামী এক বছরের মধ্যে প্রকল্প নিমার্ণ শুরু হবে। ২০১৬ সালের মধ্যে এই কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। ”

গ্যাস ও তরল- দুই ধরনের জ্বালানিই এই সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহার করা হবে বলে জানান তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, ২২ নভেম্বর, ২০১২।
এসএআর/ সম্পাদনা: হাসান শাহরিয়ার হৃদয়, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।