ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

আবারও সালদা- ফেন্সুগঞ্জ গ্যাস কূপ খনন

সেরাজুল ইসলাম সিরাজ ও মফিজুল সাদিক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৩
আবারও সালদা- ফেন্সুগঞ্জ গ্যাস কূপ খনন

ঢাকা: নতুনভাবে খনন করা হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সালদা ৩, ৪ ও ফেন্সুগঞ্জের ৪ ও ৫ নং গ্যাস কূপ। জুলাই ২০১০ সালে এ কটি গ্যাস ফিল্ডের খনন কাজ শুরু করা হয়।

প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ডিসেম্বর ২০১৩ সালে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হয়নি প্রকল্পটির।

কাঙ্ক্ষিত গ্যাসও পাওয়া যাচ্ছে না চারটি গ্যাস ফিল্ড থেকে। সেই জন্য প্রকল্পটির সময় ও ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। সঙ্গে নতুনভাবে খননের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গত সোমবার সকালে শেরেবাংলা নগরস্থ পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির(পিইসি)সভায় ‘সালদা ৩,৪ ও ফেন্সুগঞ্জ ৪,৫ উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের কতিপয় সংশোধন সাপেক্ষে এ সুপারিশ করা হয়।

পরবর্তীতে প্রকল্পটি আবারও সংশোধিত আকারে জাতীয় অর্থনৈতিক নির্বাহী কমিটির(একনেক) সভায় তোলা হবে বলে জানা গেছে।

সভা সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় চারটি নতুন কূপ খননের কথা ছিল কিন্তু এর মধ্যে সালদা ৩ ও ফেন্সুগঞ্জ ৪ নম্বর গ্যাস ফিল্ড থেকে গ্যাস পাওয়া গেছে। উক্ত কূপ থেকে ৪০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস  ন্যাশনাল গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। বাকি দুটি কূপ এখনও খনন করা হয়নি। খননের প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানা গেছে। এর ফলে কাঙ্ক্ষিত গ্যাস না পাওয়ার কারণে আবারও চারটি কূপ (ওয়ার্ক-ওভার) করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া চারটি গ্যাস কূপ নতুনভাবে খননের প্রস্তাব করা হয়েছে উপ একনেকের এ সভায়।

সভায় আশা প্রকাশ করা হয়, চারটি গ্যাস কূপ নতুনভাবে ওয়ার্ক-ওভার করা হলে এখান থেকে অতিরিক্ত ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ন্যাশনাল গ্রিডে যোগ হবে। যাতে দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।
 
প্রকল্পটি সরকারি তহবিলে ৩০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হয়ে আসছিল। জুলাই ২০১০ থেকে ডিসেম্বর ২০১৩ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ার কথা থাকলেও মেয়াদ জুন ২০১৫ সাল পযন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে এ সভায়।

এর ফলে প্রকল্পটির অর্থ আরো বাড়ানো হবে বলে জানা গেছে। তবে কি পরিমাণ অর্থ এই প্রকল্পে বাড়ানো হবে তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।

পিইসি মিটিং প্রসঙ্গে পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. হোসেন মনসুর বাংলানিউজকে বলেন, ‘চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু পাওয়া যায় না। প্রকৃতির ওপরও এসব খনন কাজ নির্ভর করে থাকে। সেই জন্য কাজে সময় লেগেছে। আমরা এখান থেকে ভাল কিছু পাওয়ার জন্য সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করেছি।

প্রকৃতির ওপর নির্ভর ব্যতীত কিছু আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থাকে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ’

বাংলাদেশ সময়: ০৩১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৩
এমআইএস/এনএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।